নিউজ ডেক্সঃ ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি দাবি করেছেন, উত্তর-পূর্বে তার দেশের সৈন্যরা বিভিন্ন দেশ থেকে রাশিয়া কর্তৃক নিয়োগকৃত বিদেশি ‘ভাড়াটে সৈন্যদের’ বিরুদ্ধে লড়াই করছে। তিনি সেসব শত্রু সেনাদের কঠোর পরিস্থিতিতে ফেলার হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, রাশিয়ার হয়ে লড়াদের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখানোর প্রতিশ্রতি ব্যক্ত করছি।
এর আগে রুশ বাহিনীর হয়ে উত্তর কোরিয়ার সেনাদের লড়াইয়ের অভিযোগ ওঠে। দক্ষিণ কোরিয়া তা প্রমাণে বিভিন্ন প্রমাণও উপস্থাপন করে। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সূত্র ইউক্রেন যুদ্ধে উত্তর কোরিয়ার সেনাদের অংশগ্রহণের দাবি করেছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট সোমবার খারকিভ অঞ্চলে ফ্রন্ট-লাইন সৈন্যদের কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। তার যোদ্ধাদের কাছ থেকে তিনি সরাসরি রিপোর্ট শোনেন। সে ভিত্তিতে জেলেনস্কি অভিযোগ করেন, চীন, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান, পাকিস্তান এবং আফ্রিকান দেশগুলোর যোদ্ধারা রাশিয়ার সঙ্গে রয়েছে।
রাশিয়া এরই মধ্যে তার কুরস্ক অঞ্চলের প্রতিরক্ষায় হাজার হাজার উত্তর কোরিয়ার সৈন্য দ্বারা সহায়তা পেয়েছে বলে জানা গেছে। ইউক্রেন এরই মধ্যে মস্কোর বিরুদ্ধে চীনা যোদ্ধা নিয়োগের আনুষ্ঠানিক অভিযোগ তুলেছে। তবে বেইজিং এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এ প্রতিবেদন লেখার সময় রাশিয়ার যুদ্ধ প্রচেষ্টায় যোগদানের জন্য জেলেনস্কির অভিযুক্ত করা অন্যান্য দেশের কাছ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
কিয়েভ থেকে আলজাজিরার চার্লস স্ট্র্যাটফোর্ড বলেন, জেলেনস্কির দাবি যাচাই করার কোনো উপায় নেই। তবে অনেক বিদেশি যোদ্ধা ইউক্রেনের পক্ষে যুদ্ধ করার জন্য স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করেছেন এবং এখনো অনেকে ফ্রন্টলাইনে রয়েছেন বলে শোনা যাচ্ছে।
জেলেনস্কি ইউক্রেনের ৫৭তম ব্রিগেডের ১৭তম পৃথক মোটরাইজড ইনফ্যান্ট্রি ব্যাটালিয়নের ফ্রন্ট-লাইন যোদ্ধাদের সঙ্গে ভোভচানস্ক শহরের কাছে দেখা করেন। তিনি এক্স-এ একটি পোস্টে বলেছেন, সামনের সারির পরিস্থিতি, ভোভচানস্কের প্রতিরক্ষা এবং যুদ্ধের গতিশীলতা নিয়ে কমান্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন তিনি। ড্রোন সরবরাহ ও মোতায়েন, নিয়োগ এবং ব্রিগেডের জন্য সরাসরি তহবিল সম্পর্কেও আলোচনা হয়েছে।
স্ট্র্যাটফোর্ড আরও বলেন, ইউক্রেন খারকিভ অঞ্চলে রাশিয়ান বাহিনীকে প্রতিহত করার জন্য লড়াই করছে। একই সময় জেলেনস্কির সৈন্যরা ডোনেটস্ক অঞ্চলের পোকরোভস্ক শহরের চারপাশে চলমান ভারী অস্ত্রের লড়াইয়েও সফলতার দাবি করেছে। এদিকে যুদ্ধের তীব্রতার মধ্যেই রাশিয়ান এবং ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা সাম্প্রতিক মাসগুলোতে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে বেশ কয়েকটি বৈঠক করেছেন। কিন্তু যুদ্ধবিরতি নিয়ে কোনো আলোচনা ফলপ্রসূ উপসংহারে পৌঁছেনি।
অনলাইন নিউজ ডেক্সঃ
কুইক এন ভি/রাজ/০৫ আগস্ট ২০২৫/ দুপুরঃ ১২.৩০