স্পোর্টস ডেস্ক : টেম্বা বাভুমার নাম এখন ইতিহাসের পাতায় সোনার হরফে লেখা হয়ে গেছে। বাভুমার নেতৃত্বে দক্ষিণ আফ্রিকা ফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ খেতাব নিজেদের করে নিয়েছে। এই ঐতিহাসিক জয়ের পর বাভুমা এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।
বাভুমার স্ত্রী ফিলা লোবি একজন সফল ব্যবসায়ী, সমাজকর্মী এবং একজন অনুপ্রেরণাদায়ী নেতৃত্ব। যিনি আয়ের দিক থেকে স্বামীকেও টক্কর দেন। চার বছর সম্পর্কে থাকার পর ২০১৮ সালের ২৬ আগস্ট বিয়ে করেন ফিলা ও বাভুমা । বর্তমানে তাদের ঘরে একটি দুই বছরের ছেলে রয়েছে।
ফিলা লোবির নিজস্ব একটি রিয়েল এস্টেট কোম্পানি রয়েছে যার নাম ‘লোবি প্রপার্টিজ’। ২০১৬ সালে এই কোম্পানির সূচনা করেন তিনি। এই কোম্পানি মূলত জোহানেসবার্গ ও কেপটাউনে বিলাসবহুল সম্পত্তি বিক্রি করে। ব্যবসার পাশাপাশি তিনি একজন সমাজসেবীও।
২০১৮ সালে ‘ফিলা লোবি ফাউন্ডেশন’ প্রতিষ্ঠা করেন, যা অনাথ ও দুস্থ শিশুদের জন্য কাজ করে। ফিলা শিক্ষায়ও কৃতিত্ব অর্জন করেছেন। ফিনান্স ও রিয়েল এস্টেট বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রিধারী ফিলা একজন চৌকস ও সমাজসচেতন নারী।
ডানহাতি ব্যাটসম্যান বাভুমার মোট সম্পত্তির পরিমাণ আনুমানিক ৪০ কোটি টাকা। তার এই আয়ের মূল উৎস জাতীয় দল, বিভিন্ন ঘরোয়া লিগ এবং বেশ কিছু আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের সঙ্গে স্পনসরশিপ চুক্তি। ছোট চেহারার হলেও বাভুমার উচ্চতা তার পারফরম্যান্সেই প্রতিফলিত হয়।
তবে পরিমাণ নয়, গুণেই বাভুমার প্রকৃত মূল্যায়ন। মাঠে তিনি নেতার মতো, ব্যাট হাতে সাহসী সৈনিক। ফাইনাল শেষে আবেগঘন ভাষায় বললেন, ‘গত কয়েকদিন আমাদের জন্য বিশেষ ছিল। মানুষ আমাদের যে ভালোবাসা দিয়েছে তা দেখে মনে হয়েছে যেন আমরা দক্ষিণ আফ্রিকায় ফিরে এসেছি। এই জয় শুধু একটি ম্যাচের নয়, এটি আমাদের আত্মপরিচয়ের জয়।’তিনি আরও বলেন, ‘কাগিসো রাবাদা একজন বড় খেলোয়াড়। মার্করাম অবিশ্বাস্য ছিলেন। আমি নিশ্চিত দক্ষিণ আফ্রিকার মানুষ এই সময়টা উদযাপন করবে।
টেম্বা বাভুমা আজ শুধু দক্ষিণ আফ্রিকার নয়, পুরো ক্রিকেটবিশ্বের কাছে এক অনুপ্রেরণার নাম। মাঠের ভেতরে যিনি সাহসী অধিনায়ক, মাঠের বাইরে তিনি একজন নিবেদিতপ্রাণ স্বামী, স্নেহময় পিতা এবং দায়িত্বশীল নাগরিক। এক কথায়—টেম্বা বাভুমা এখন শুধুই একজন খেলোয়াড় নন, তিনি একটি অধ্যায়।
কিউএনবি/আয়শা/১৬ জুন ২০২৫, /রাত ১২:৩০