আন্তর্জাতিক ডেস্ক : জাতিসংঘের প্রকাশিত রিপোর্টে তেমন আগ্রহ নেই মানুষের। তাদেরই এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এই তথ্য। গাজায় আগ্রাসন বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হওয়ায় এমনিতেই বিশ্বজুড়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে সংস্থাটি। তার মধ্যেই এমন প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। তার দাবি, ২০২৪ সালে তাদের বিভিন্ন অংগসংগঠনের ২৭ হাজার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। অতিরিক্ত বৈঠক জাতিসংঘ ব্যবস্থাকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বিশ্বজুড়ে নিরাপত্তা ও শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত হয় জাতিসংঘ। গাজায় ইসরায়েলের লাগাতার আগ্রাসন কিংবা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ- কোনো সংঘাত বন্ধেই অবশ্য এ পর্যন্ত কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেনি সংস্থাটি। আর তাই, বর্তমান বাস্তবতায় জাতিসংঘের সংস্কারের দাবি এখন বেশ জোরালো। ২০২৫ সালেই ৮০ বছর হবে জাতিসংঘের বয়স। সদস্য রাষ্ট্রগুলো নিয়মিত বকেয়া পরিশোধ না করায় সাত বছর ধরে তারল্য সংকটে পড়ছে সংস্থাটি। আর তাই খরচ বাঁচানো হয় বিভিন্ন সংস্কারের লক্ষ্যে গত মার্চ মাসে UN80 টাস্কফোর্স চালু করেছেন মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস।
মহাসচিব বলেন, গত বছর আমাদের ২৪০ সংগঠন ২৭ হাজার বৈঠকের সাথে যুক্ত ছিল। আমাদের সচিবালয় একাই ১ হাজার ১শ রিপোর্ট তৈরি করেছে। এ রিপোর্টগুলো ব্যাপকভাবে পঠিতও হয় না। তিনি বলেন, জাতিসংঘকে আরও ভালোভাবে পরিচালিত করার জন্য আমরা একাধিক পরামর্শ প্রস্তাব করছি। তারমধ্যে রয়েছে কম সভা, কম প্রতিবেদনের মাধ্যমেও যাতে আমাদের ম্যান্ডেট পূরণ করা সম্ভব হয়। উপযুক্ত ফরম্যাট ও আরও ভালো প্রতিবেদনও যাতে তৈরি করা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাতিসংঘের শীর্ষ ৫টি রিপোর্ট ৫ হাজার ৫শ বারের মতো ডাউনলোড হয়েছে। এছাড়া প্রতি পাঁচটির মধ্যে একটি আবার ডাউনলোড করা হয়েছে এক হাজারেরও কম। জাতিসংঘের প্রকাশিত এই রিপোর্ট নতুন করে তাদের কার্যকারিতাকে প্রশ্নের মুখে ফেলছে।
কিউএনবি/আয়শা/২ আগস্ট ২০২৫/রাত ১০:৩৮