মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ০৭:৪০ অপরাহ্ন

লালমনিরহাট বিমানবন্দর চালুর পরিকল্পনায় শঙ্কিত ভারত

Reporter Name
  • Update Time : মঙ্গলবার, ২৭ মে, ২০২৫
  • ২২ Time View

ডেস্ক নিউজ : প্রায় ৫৪ বছর ধরে পরিত্যক্ত লালমনিরহাট বিমানবন্দরটি পুনরায় চালুর পরিকল্পনায় শঙ্কিত ভারত। দেশটির দাবি, চীনের সাহায্যে আবার চালু করা হচ্ছে এটি। ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিমানবন্দরটি ভারতের সীমানার খুব কাছাকাছি, মাত্র ২০ কিলোমিটার দূরে। এটি ভারতের সিলিগুড়ি করিডরের কাছাকাছি, যাকে ‘চিকেন নেক’ বলা হয়। (যদিও গুগল ম্যাপ ও বাংলাদেশসহ পাশ্বর্বর্তী কয়েকটি দেশের মানচিত্র ঘেঁটে দেখা যায়, লালমনিরহাট বিমানবন্দর থেকে ভারতের ‘চিকেন নেক’ খ্যাত শিলিগুড়ি করিডরের দূরুত্ব ১৬০ কিলোমিটার।)

রত্মদ্বীপ চৌধুরীর লেখা প্রতিবেদনটিতে দাবি করা হয়, যদি চীন এ বিমানবন্দর সংস্কারে সাহায্য করে, তাহলে তারা হয়তো সেখান থেকে সামরিক সরঞ্জাম যেমন ফাইটার জেট, রাডার ও নজরদারি যন্ত্র বসাবে। এ কারণে, ভারত দ্রুত উত্তর-পূর্ব রাজ্যের ত্রিপুরার কাইলাশহর বিমানবন্দর সংস্কারের কাজ শুরু করেছে। যদিও এটি মূলত একটি বেসামরিক বিমানবন্দর থাকবে, তবুও সামরিক বিমান চলাচলের জন্য প্রস্তুত রাখা হবে। এ পদক্ষেপ শুধু বাংলাদেশের লালমনিরহাটের জন্য নয়, বরং সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিবর্তনের কারণে ভারতের পক্ষ থেকে একটি সতর্কবার্তা হিসেবেও ধরা হচ্ছে।

এনডিটিভির প্রতিবেদন বলছে, গত বছর আগস্টে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হন। তার পরিবর্তে নতুন সরকার এসেছে, যারা ভারতের সঙ্গে তেমন ঘনিষ্ঠ নয় এবং চীন ও পাকিস্তানের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াচ্ছে। অতএব, চীনের সাহায্যে বাংলাদেশের এ বিমানবন্দরর সংস্কার ভারতের জন্য উদ্বেগের কারণ।

এতে আরও জানানো হয়, লালমনিরহাট বিমানবন্দর চালুর পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে ত্রিপুরার ‘কাইলাশহর বিমানবন্দর’ চালু করবে ভারত। ১৯৯০-এর দশকে বন্ধ হয়ে যায় এটি। ১৯৭১ সালের যুদ্ধে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল। রত্মদ্বীপ আরও লিখেছেন, কাইলাশহর বিমানবন্দর সংস্কার হলে ত্রিপুরার বিমান যোগাযোগ অনেক উন্নত হবে। কারণ এখন ত্রিপুরায় একমাত্র বড় বিমানবন্দর আগরতলা শহরে। ২০২৫ সালের ২৬ মে, বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের একটি উচ্চ পর্যায়ের দল এয়ারপোর্টটি পরিদর্শন করেছে এবং তারা সরকারকে পরবর্তী পরিকল্পনা জানাবে।

প্রসঙ্গত, গতকাল সোমবার বিকালে সেনাসদরে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে সেনাবাহিনীর মিলিটারি অপারেশন্স অধিদফতরের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজিম-উল-দৌলা বলেন, দেশের সামগ্রিক সক্ষমতা বাড়ছে, সে অনুযায়ী আমাদের প্রয়োজনও বৃদ্ধি পাচ্ছে। লালমনিরহাট বিমানবন্দরটি দীর্ঘদিন অব্যবহৃত থাকলেও প্রয়োজনীয়তার ভিত্তিতে এটি নতুন করে সচল করা হচ্ছে। 

তিনি জানান, বিমানবন্দরটির পরিধি ও কার্যক্রম সম্প্রসারণ করা হবে এবং সেখানে নতুন অবকাঠামো গড়ে তোলা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, আপনারাই জানেন, ওই এলাকায় একটি এরোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হচ্ছে। এভিয়েশন খাতের সম্প্রসারণের অংশ হিসেবে এ বিমানবন্দরকে কাজে লাগানো হবে। এটি একটি জাতীয় সম্পদ এবং দেশের প্রয়োজনে এর যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে।

 

কিউএনবি/আয়শা/২৭ মে ২০২৫, /সন্ধ্যা ৭:২৮

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

June 2025
M T W T F S S
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit