শার্শা(যশোর)সংবাদদাতা : যশোরের শার্শা উপজেলার বাগুড়ি বেলতলা নামক স্থান থেকে প্রায় ৩০ মন কাঁচা আম ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় একটি দূর্র্বত্তদল চাঁদা আদায়ের জন্য রাস্তা থেকে আম ব্যবসায়ীর স্যালো ইঞ্জিন চালিত আম বোঝাই একটি আলম সাধু রাস্তা থেকে ছিনতাই করে । ঘটনাটি জানাজানি হলে খবর পেয়ে শার্শা থানা পুলিশ ঘটনা স্থলে যায়।
এ সময় দূর্বৃত্তদের হাত থেকে আম বোঝাই আলম সাধুটি উদ্ধার করে শার্শা থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় আম ব্যবসায়ী সেলিমের অভিযোগের ভিত্তিতে শার্শা থানায় একটি চাঁদা বাজি মামলা হয়েছে। পুলিশ তাৎক্ষনিক আশিক নামে একজন চাঁদাবাজকে আটক করেছে। সে বাগুড়ি গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে। এরপর শার্শা থানার পুলিশ প্রকৃত আম ব্যবসায়ীর কাছে আম বোঝাই আলম সাধুটি বুঝিয়ে দেয়। আলম সাধু ও আমের ক্রেতা মোঃ সেলিম হোসেন চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর থানার শিয়ালনগর গ্রামের আসমত উল্লাহর ছেলে। সে পেসায় একজন কাঁচা ও পাকা ফল ব্যবসায়ী।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আমের ক্রেতা মোঃ সেলিম হোসেন জানান, তিনি গত ২৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার কলারোয়া উপজেলার কুশখালী গ্রামের শাহিদুলের আম বাগান থেকে ৬০ ক্যারেট কাঁচা আম ক্রয় করে। যার ওজন প্রায় ৩০ মন। মুল্য ৪০ হাজার টাকা।সেলিম জানান, ঐ দিন রাতে সে ক্রয়কৃত আম একটি আলম সাধুতে করে তার গন্তব্যে রওয়ানা হয়্ পথি মধ্যে বাগুড়ি স্কুলের কাছে পৌছালে একদল দূর্বৃত্ত তার আমের গাড়িটি গতিরোধ করে পাশ্ববর্তি স্কুল মাঠে নিয়ে যায়্।
সেখানে তাকে মারপিক করে দূর্বৃত্তরা ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। এ সময় স্থানীয় লোকজন ঘটনা স্থলে পৌছায় এবং পুলিশকে খবর দেয়। আম ব্যবসায়ী সেলিম বলেন কিছুক্ষন পর পুলিশ এসে তাকে তার আমসহ উদ্ধার করে শার্শা থানায় নিয়ে যায়্। এরপর থানা পুলিশ তার আম ও আলম সাধু গাড়িটি তার কাছে বুঝিয়ে দেয় বলে জানান। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বাগুড়ি আম বাজারের সাধারন সম্পাদক কামরুজ্জামান মুন্না বলেন বাগুড়ি বাজারের আম ছিনতাইয়ের ঘটনায় পুলিশের সহযোগিতায় তা উদ্ধার হয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শার্শা থানার অফিসার ইনচার্জ কে এম রবিউল ইসলাম জানান, শার্শার বাগুড়ি বেলতলা নামক স্থান থেকে আম সহ একটি আলম সাধু গাড়ি ছিনতাই হয়েছিল। পুলিশ খবর পেয়ে তা উদ্ধার করে মুল মালিকের কাছে তা হস্তান্তর করে। তিনি বলেন আম ছিনতাইয়ের সাথে জড়িতদের সনাক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন শার্শা উপজেলার বাগুড়ি আম বাজারের কিছু অসাধু ব্যাক্তি তাদের অবৈধ্য সুবিধা না পেয়ে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত শুরু করেছে। তারা সুবিধা করতে না পেরে প্রশাসনের নামে বদনাম ছড়াতে, মিথ্যা অপপ্রচার করছে। তিনি আরও বলেন আগামী আমের মৌসুমে বাগুড়ি আম বাজারে কেউ যাহাতে কোন প্রকার অনৈতিক সুবিধা ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা গ্রহন করতে না পারে তার জন্য পুলিশের নজরদারী থাকবে।
কিউএনবি/আয়শা/২৮ এপ্রিল ২০২৫,/রাত ৮:১২