মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৩:৫৪ পূর্বাহ্ন

সীমান্তে বন্যহাতি রক্ষায় বনবিভাগের মাইকিং

Reporter Name
  • Update Time : সোমবার, ৭ জুলাই, ২০২৫
  • ২৫ Time View

ডেস্ক নিউজ : শেরপুরের সীমান্তবর্তী নালিতাবাড়ী, ঝিনাইগাতী ও শ্রীবরদী উপজেলার পাহাড়ি এলাকায় বন্যহাতি রক্ষায় বনবিভাগের পক্ষ থেকে মানুষকে সচেতন করার জন্য রোববার থেকে সতর্কতামূলক মাইকিং করা হচ্ছে। দিক-নির্দেশনামূলক ওই মাইকিংয়ের মাধ্যমে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন-২০১২ মেনে চলার পাশাপাশি অন্যকেও মানতে উৎসাহিত করার আহবান জানানো হচ্ছে।  

এই জরুরি বার্তায় হাতি হত্যা আইনত জামিন অযোগ্য দণ্ডনীয় অপরাধ। কেউ হাতি হত্যার সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত থাকলে কিংবা প্ররোচণা দিলে তা গোপনে কিংবা প্রকাশ্যে প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট আইন অনুযায়ী তাকে জেল-জরিমানা করা হবে।জনস্বার্থে ময়মনসিংহ বনবিভাগ, বাংলাদেশ বন অধিদপ্তর, পরিবেশ জলবায়ূ পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে রোববার থেকে এই সচেতনতামূলক মাইকিং শুরু হয়েছে এবং তা অব্যাহত থাকবে।   

জনস্বার্থে করা ওই মাইকিংয়ে বলা হয়, যে যেখানে আছেন, সেখান থেকে শুনুন- জরুরি বার্তা। পাহাড়ি অঞ্চলে, বনাঞ্চলে এবং ফসলের জমিতে কিংবা হাতি বিচরণ ক্ষেত্রে এবং বন্যহাতি চলাচলের পথে কোনো প্রতিবন্ধকতা তৈরি, বৈদ্যুতিক তারের মাধ্যমে শক, দেশি ও বিদেশি অস্ত্র দ্বারা বা অন্য কোনো উপায়ে হাতি হত্যা আইনত জামিন অযোগ্য দণ্ডনীয় অপরাধ। 

কেউ হাতি হত্যার সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত থাকলে কিংবা প্ররোচণা দিলে তা গোপনে কিংবা প্রকাশ্যে প্রমাণিত হলে বন্যপ্রাণি সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন ২০১২ অনুযায়ী তাকে জেল-জরিমানা করা হবে। বন্যহাতি দ্বারা কারও ফসলি জমি, ঘরবাড়ি, গবাদিপশু ক্ষতিগ্রস্ত হলে কোনো মানুষ আহত বা প্রাণহানি ঘটলে বনবিভাগ ক্ষতিপূরণ নীতিমালা অনুযায়ী তদন্তসাপেক্ষে ক্ষতিপূরণ দেবে। 

লোকালয়ে বন্যহাতি আসলে শুধু নিকটস্থ বনবিভাগকে খবর দিন এবং জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করণের জন্য নিরাপদ আশ্রয়ে অবস্থান করুন। হাতিকে কোনো ধরনের উত্ত্যক্ত না করে নিরাপদে বনে ফিরে যাওয়ার সুযোগ করে দিন। বন্যপ্রাণী অপরাধ উদঘাটনে তথ্যদাতাকে বনবিভাগের পক্ষ থেকে বিধিমালা অনুযায়ী পুরস্কার দেওয়া হবে।  

আসুন, আমরা সবাই বন্যপ্রাণি সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন-২০১২ মেনে চলি এবং অন্যকেও মানতে উৎসাহিত করি। হাতিসহ সব বন্যপ্রাণী আমাদের দেশের সম্পদ। এর রক্ষা করার দায়িত্ব আপনার আমার সবার। জনস্বার্থে ময়মনসিংহ বনবিভাগ, বাংলাদেশ বন অধিদপ্তর, পরিবেশ জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়।  

শেরপুর বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের তথ্যমতে, ২০১৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত বন্যহাতির আক্রমণে শেরপুর জেলায় ৪৫ জনের মৃত্যু হয়। একই সময়ে জেলায় মারা পড়েছে ৩৫টি বন্যাহাতি। মানুষের তৈরি বৈদুতিক ফাঁদে, গুলিবিদ্ধ হয়ে, খাদ্যে বিষক্রিয়ায় কিংবা অসুস্থতাজনিত কারণে এসব হাতির মৃত্যু হয়েছে। হাতি হত্যার ঘটনায় শেরপুরের আদালতে ৩টি মামলা চলমান রয়েছে।

 

 

কিউএনবি/আয়শা//০৭ জুলাই ২০২৫,/রাত ৯:২৩

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

July 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit