ডেস্ক নিউজ : ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইইবি)– অস্ট্রেলিয়া চ্যাপ্টারের ২০২৫ সালের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার সিডনির মার্সডেন পার্ক নেবারহুড সেন্টারে সাফল্যের সঙ্গে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ৪০ জনেরও বেশি আর্থিক সদস্য উপস্থিত ছিলেন। তাদের মধ্যে ছিলেন বাংলাদেশি প্রকৌশলী সমাজের খ্যাতনামা এবং অভিজ্ঞ মুখাবয়ব। সভাটি পরিচালনা করেন ড. ইঞ্জিনিয়ার আবদুল্লাহ আল মামুন। তিনি উপস্থিত অতিথিদের আন্তরিক স্বাগত জানান। পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়ার স্থানীয় আদিবাসী জনগোষ্ঠীর প্রতি সম্মান জানিয়ে সভার সূচনা করেন।
জাতীয় সংগীত পরিবেশনের পর শুরু হয় মূল অনুষ্ঠান। এতে বিশেষ মর্যাদায় উপস্থিত ছিলেন তিনজন সম্মানিত প্রকৌশলী— প্রফেসর আহমদুল আমিন, ইঞ্জিনিয়ার শফিউল করিম ও প্রফেসর ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম। তাদের উপস্থিতি পুরো অনুষ্ঠানকে এক আলোকোজ্জ্বল মাত্রা এনে দেয়।
চ্যাপ্টারের সেক্রেটারি ড. এএইচএম কামরুজ্জামান ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বার্ষিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। তিনি আইইবি অস্ট্রেলিয়া চ্যাপ্টারের বিভিন্ন কার্যক্রম ও সাফল্য তুলে ধরেন। তিনি জানান, সংগঠনটির নিরলস প্রচেষ্টার ফলেই বাংলাদেশ ‘ওয়াশিংটন অ্যাকর্ড’-এর ২৪তম স্বাক্ষরকারী সদস্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। তার উপস্থাপনা ছিল চিত্র ও পরিসংখ্যান সমৃদ্ধ, যা সদস্যদের অগ্রগতির চিত্র স্পষ্টভাবে তুলে ধরে।
চ্যাপ্টারের কোষাধ্যক্ষ ইঞ্জিনিয়ার রাশিদ পাটোয়ারী আর্থিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন, যা স্বচ্ছতা ও দায়িত্বশীলতার প্রতিফলন ঘটায়। এরপর নির্বাচন কমিশনের পক্ষে ইঞ্জিনিয়ার পারভেজ শাহ এবং সহকারী কমিশনার ইঞ্জিনিয়ার নূর হোসেন নির্বাচন প্রতিবেদন পেশ করেন।
অনুষ্ঠানে এক আবেগঘন পর্ব ছিল সম্মাননা প্রদান। আইইবি অস্ট্রেলিয়া চ্যাপ্টারের প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার সাইফুল ইসলামকে আজীবন অবদানের জন্য সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। ক্রেস্ট প্রদান করেন প্রফেসর ড. রেজাউল করিম, সঙ্গে ছিলেন ভাইস চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার সোহেল করিম এবং নির্বাহী কমিটির অন্যান্য সদস্য।
পরবর্তী সময়ে একটি উন্মুক্ত প্রশ্নোত্তর ও মতবিনিময় পর্ব অনুষ্ঠিত হয়, যেটি পরিচালনা করেন ড. ইঞ্জিনিয়ার রফিকুল ইসলাম। সদস্যরা ভবিষ্যতের কর্মপরিকল্পনা নিয়ে বিভিন্ন প্রস্তাবনা ও পরামর্শ দেন। সকলে বর্তমান নির্বাহী কমিটির পেশাদারিত্ব এবং নিষ্ঠাকে প্রশংসা করে এই ধারা অব্যাহত রাখার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সভাপতির সমাপনী বক্তব্যে চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আবদুল মতিন সকল সদস্য ও নির্বাহী কমিটিকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। পরে একটি কেক কাটার মাধ্যমে চ্যাপ্টারের সাম্প্রতিক অর্জন উদযাপন করা হয়। অনুষ্ঠান শেষে ছিল এক প্রীতিভোজ ও নেটওয়ার্কিং পর্ব, যা সদস্যদের মধ্যে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করে।
কিউএনবি/অনিমা/০৭ জুলাই ২০২৫,/রাত ১০:২৫