বাদল আহাম্মদ খান ,নিজস্ব প্রতিবেদক : টিকিট কেটে উঠলেও ট্রেনে দায়িত্বরত ব্যক্তি ২০০ টাকা দাবি করেন। এতে অনীহা প্রকাশ করেন বৃদ্ধ যাত্রী ফুল মিয়া। আর এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মারধর করেন ট্রেন কর্মচারি মো. কাউছার। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এ নিয়ে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। শুরু হয় প্রতিবাদ। কর্মচারির গ্রেপ্তার দাবি করা হয়। ঘোষণা দেওয়া হয় ট্রেন আটকে দেওয়ার। দল বেঁধে লোকজন জমা হতে থাকেন একটি স্টেশনে।পরিস্থিতি সামাল দিতে ছুটে আসে সেনাবাহিনী। আসতে হয় উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে (ইউএনও)। শেষ পর্যন্ত দাবি মেনে নেওয়া হয়। গ্রেপ্তারের পাশাপাশি রেল কর্মচারি কাউছারকে বরখাস্ত করা হয়।এভাবেই একটি সম্মিলিত প্রতিবাদের ঘটনা ঘটেছে রবিবার। বেলা দুইটা থেকে বিকেল পাঁচটা নাগাদ ঘটে এমন ঘটনা। মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেনের এ ঘটনা রেল অঙ্গন জুড়েও আলোচনার জন্ম দেয়। শেষ পর্যন্ত ট্রেনটি এক ঘন্টা বিলম্বে চলাচল করে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার সৈয়দাবাদ এলাকার ফুল মিয়া চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেনে করে আসছিলেন। এ সময় ট্রেনে দায়িত্বরত কাউছার নামে এক ব্যক্তি তার কাছে ২০০ টাকা দাবি করেন। আসনবিহীন টিকিট থাকার পরও কেন টাকা দিতে হবে- এমন কথায় ক্ষেপে যান কাউছার। এক পর্যায়ে বৃদ্ধকে মারধর করেন। এ বিষয়ে ফুল মিয়ার কাছ থেকে একটি ভিডিও বার্তা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপরই প্রতিবাদের ঝড় উঠে।
ফেসবুকে ঘোষণা দিয়ে কসবা রেলওয়ে স্টেশনে লোকজন জড়ো হতে থাকে। এতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারে জোরালো দাবি জানানো হয়। অন্যথায় ট্রেন আটকে প্রতিবাদ করার কথা বলা হয়। এরই মধ্যে রেলওয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ ট্রেনে দায়িত্বরত পুলিশ তাকে আটক করেন। ফেসবুকে তাকে আটক করে রাখার ছবিও পোস্ট করা হয়। এরই মধ্য সেনাবাহিনী কসবা স্টেশনে ছুটে এসে কসবা স্টেশনের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালান। ইউএনও এসে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন। এরই মধ্যে বিকেল পৌণে চারটা থেকে কসবার আগের স্টেশন মন্দবাগে অনির্ধারিত যাত্রাবিরতি দেয়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ট্রেনটিকে কসবায় প্রবেশ করানো হয়।
কসবা রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনা জানার পর লোকজন স্টেশনে জড়ো হতে থাকে। উপজেলা প্রশাসন ও সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিত স্বাভাবিক করেন। পরিস্থিতি বিবেচনায় ট্রেনটিকে মন্দবাগ স্টেশনে দাঁড় করানো হয়।’ইউএনও মো. সামিউল ইসলাম জানান, মহানগর এক্সপ্রেসে অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটে। ওই রেল কর্মচারিকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সাময়িক বরখাস্ত করেছেন। পাশাপাশি তাকে আটক করা হয়।