ডেস্ক নিউজ : মৌলভীবাজারের বড়লেখায় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত চা শ্রমিক গোপাল বাকতির বাড়িতে গিয়ে মঙ্গলবার শোক ও সমবেদনা জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক কমিটির প্রতিনিধি দল।
নিহত গোপালের স্ত্রী দয়া বাকতি বলেন, আমার স্বামী শুধু বাগানে কাজ করতেন। কিন্তু বাগানে কাজ করে ১৭৮ টাকা রোজে তো পেট চলে না। বড় মেয়ের অপারেশনে ৩ লাখ টাকা গেছে। ছেলে-মেয়েদের লেখা পড়ার খরচ লাগে। কিস্তি আছে। তাই পাহাড়ে মাঝে মাঝে গিয়ে বাঁশ এনে বিক্রি করতেন। বাঁশ আনতে গিয়েই স্বামী মারা গেলেন। এখন ছেলে-মেয়েদের নিয়ে কীভাবে সংসার চালাব, এই চিন্তায় আমি দিশেহারা।
প্রীতম দাশ বলেন, ভারত বাংলাদেশের পতিত স্বৈরাচারকে জায়গা দিয়েছে। অপরদিকে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের বুকে গুলি চালাচ্ছে। এভাবে একটা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক হতে পারে না। উল্লেখ্য, রোববার বড়লেখায় বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের জিরো লাইনের ২০০ গজ অভ্যন্তরে চা শ্রমিক গোপাল বাকতির গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করে বিজিবি ও পুলিশ।
কিউএনবি/আয়শা/২৪ ডিসেম্বর ২০২৪,/রাত ১০:২১