সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫, ০৮:৩৬ পূর্বাহ্ন

শরীয়তপুরে অবৈধ ইট ভাটায় শিশু শ্রম

খোরশেদ আলম বাবুল,শরীয়তপুর প্রতিনিধি
  • Update Time : মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ৫৭ Time View

খোরশেদ আলম বাবুল,শরীয়তপুর প্রতিনিধি : শরীয়তপুরে অধিকাংশ ইট ভাটায় নেই পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র। পরিবেশের ক্ষতি করে দাপটের সাথে ইট উৎপাদন করছে ভাটাগুলোতে। পাশাপাশি নিষিদ্ধ শিশু শ্রমও রয়েছে ভাটাগুলোতে। অবৈধ ভাটাগুলোতে নিয়মিত অভিযান চালানোর পাশাপাশি শিশু শ্রম বন্ধে কাজ করছে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন।জেলা পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, জেলায় ৫৫টি ইটভাটা রয়েছে। তার মধ্যে মাত্র ৫টি ইট ভাটাকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। অপর ৯০ শতাংশ ইটভাটা পরিবেশ অধিদপ্তরের নিয়ম অনুযায়ী অবৈধ। পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে অবৈধ ইটভাটার তালিকা জেলা প্রশাসনকে দেওয়া হয়েছে। তারা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ইটভাটা গুলোতে শিশু শ্রম চলছে। সে সকল শিশুদের বয়স ৬ বছরেরও কম হবে। সদর উপজেলার ডোমসার এলাকায় গিয়ে দেখা যায় মেসার্স মেঘনা ব্রিকে কাজ করছে কয়েকজন শিশু। তাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বাবা-মায়ের সাথে কিশোরগঞ্জ থেকে এসেছে। বাবা-মা মেঘনা ব্রিকস্ ফিল্ডে দিন মজুরের কাজ করে। তাদের সাথে শিশু শ্রমিক হিয়ান তার ছোট ভাই ৬ বছর বয়সী আহিয়ানকে নিয়ে ইট উল্টানোর কাজ করে।কাজের ফাঁকে তারা জানায়, বাবা-মা ইট ভাটায় শ্রমিকের কাজ করে। কিশোরগঞ্জ থেকে তারাও এসেছে। এখন তারা প্রতি সারিতে থাকা ৫ থেকে ৬ হাজার ইট শুকানোর কাজ করে। এক সারি থেকে ইট উল্টানোর জন্য তারা ৭০ টাকা পায়।হিয়ান ও আহিয়ানের পিতা সালেক জানায়, স্বামী-স্ত্রী মিলে মেঘনা ব্রিক ফিল্ডে কাজ করে। তার সন্তানেরাও সেখানে কাজ করে।

মেঘনা ব্রিকের স্বত্ত্বাধিকারী ও জেলা ইটভাটা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা সরদার জানায়, ২০০৫ সাল থেকে তার ইটাভাটা উৎপাদনে যায়। সেই থেকে পরিবেশ ছাড়পত্র সহ সকল লাইসেন্স পেয়ে আসছেন। ২০২১ সাল থেকে মেঘনা ব্রিকস্কে আর লাইসেন্স দেওয়া হয়না। তবে তার ভাটায় শিশু শ্রম আছে কিনা তা তিনি জানেন না বলে দাবী করেন।জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো: রাসেল নোমান বলেন, ১ হাজার মিটারের মধ্যে কোন বিদ্যালয় থাকলে পাশর্^বর্তী কোন ইটভাটাকে পরিবেশ ছাড়পত্র দেওয়া হবে না। মেঘনা ব্রিকস্ এর ৫০০ মিটারের মধ্যে স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসাসহ একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তাই তাদের কোন ছাড়পত্র দেওয়া হবে না।শরীযতপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: মাইনউদ্দিন বলেন, অবৈধ ইটভাটার প্রতি আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তাছাড়া শিশু শ্রম কোন ভাবেই গ্রহণযোগ্য না। যে সকল ভাটায় শিশু শ্রম রয়েছে সেই সকল ইটভাটায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হবে।

কিউএনবি/অনিমা/২৪ ডিসেম্বর ২০২৪,/বিকাল ৩:০৬

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

October 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit