লাইফ ষ্টাইল ডেস্ক : জেনে নিন প্রধান হিসেবে এই দুইটি রঙ ব্যবহারের কারণ-
১. খ্রিস্টীয় ধর্মীয় প্রতীক: লাল রঙ খ্রিস্টের রক্তকে প্রতিনিধিত্ব করে, যা তার আত্মত্যাগ এবং মানবজাতির পাপ থেকে মুক্তির প্রতীক। এছাড়া এটি ভালোবাসা এবং আশা প্রকাশের প্রতীক হিসেবেও দেখা হয়। আর সবুজ চিরসবুজ গাছের রঙ, যা জীবনের ধারাবাহিকতা এবং পুনর্জন্মের প্রতীক। এটি শীতকালেও সবুজ থাকে, যা ঈশ্বরের চিরন্তন উপস্থিতি এবং শক্তির প্রতীক।
২. ঐতিহাসিক প্রভাব: চিরসবুজ গাছ এবং পাতা (যেমন হোলি, আইভি, মিসলেটো) প্রাচীন ইউরোপীয় উৎসবগুলোতে ব্যবহার করা হতো, বিশেষ করে শীতকালীন সংক্রান্তি উদযাপনে। এই গাছগুলো শীতকালের দীর্ঘ অন্ধকার সময়ে জীবনের প্রতীক হিসেবে দেখা হতো। পরে এই রঙগুলো খ্রিস্টীয় বড়দিনের উদযাপনের অংশ হয়ে ওঠে।
৩. উৎসবের আবহ: লাল এবং সবুজ রঙ একসঙ্গে ব্যবহার করলে উজ্জ্বল এবং আনন্দময় পরিবেশ তৈরি হয়, যা বড়দিনের উৎসবের চেতনাকে ফুটিয়ে তোলে।
৪. সাংস্কৃতিক প্রভাব: ১৯শ এবং ২০শ শতকে বড়দিনের কার্ড, সজ্জা এবং বিজ্ঞাপনে এই রঙগুলো ব্যাপকভাবে ব্যবহার হতে থাকে। ধীরে ধীরে, এই রঙগুলো বড়দিনের সঙ্গে জুড়ে যায়।
৫. প্রকৃতির প্রতীক: শীতকালে তুষারের মধ্যে চিরসবুজ গাছের উপস্থিতি প্রকৃতিতে সবুজ রঙের একমাত্র প্রতিনিধি হয়ে ওঠে। অন্যদিকে, লাল রঙ ফুল বা ফলের মাধ্যমে প্রকৃতিতে দেখা যায়, যা উৎসবকে আরও প্রাণবন্ত করে তোলে।
এই ঐতিহ্য এবং প্রতীকের মিশ্রণে লাল এবং সবুজ রঙ বড়দিনের অঙ্গ হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে।
কিউএনবি/আয়শা/২২ ডিসেম্বর ২০২৪,/সন্ধ্যা ৭:০৫