স্টাফ রিপোর্টার,মনিরামপুর(যশোর) : আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্যরে কাকাতো ভাই অধ্যক্ষ চঞ্চল ভট্টাচার্য্যরে বিরুদ্ধে এবার আয়াপদে চাকুরির প্রলোভন দেখিয়ে হালিমা খাতুন নামে এক গৃহবধুর কাছ থেকে ১০ শতক জমি ও পাঁচলাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। দিনমজুরের স্ত্রী হালিমা খাতুন জমি-টাকা খুইয়ে এখন পথে বসেছেন। ফলে জমি ও টাকা ফেরত পেতে হালিমা ও তার পরিবার দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
জানাযায়, ২০১৮ সালে যশোর-৫ মনিরামপুরে আওয়ামী লীগের টিকিটে নৌকা প্রতিক নিয়ে নির্বাচন করে দ্বিতীয় বারের মত সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন স্বপন ভট্টাচার্য্য। এর পরই স্বপন ভট্টাচার্য্য স্থাণীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। অভিযোগ রয়েছে প্রতিমন্ত্রী হাবার পর স্বপন ভট্টাচার্য্যরে পরিবার মনিরামপুরে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করে। নিয়োগবাণিজ্য, দখল দারিত্ব, টেন্ডারবাজীসহ নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়েন প্রতিমন্ত্রী পরিবার।এরই ধারাবাহিকতায় স্বপন ভট্টাচার্য্যরে কাকাতো ভাই নেহালপুর স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ চঞ্চল ভট্টাচার্য্য আধিপত্য বিস্তর করে খাটুয়াডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং বাজিতপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হন।
অভিযোগ রয়েছে খাটুয়াডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আয়াপদে চাকুরির প্রলোভন দেখিয়ে চঞ্চল ভট্টাচার্য্য আ¤্রঝুটা গ্রামের মিলন হোসেনের স্ত্রী হালিমা খাতুনের কাছ থেকে ১০ শতক জমি(রেজিষ্ট্রি) এবং পাঁচলাখ টাকা হাতিয়ে নেন। কিন্তু হালিমাকে চাকুরি দেওয়া হয়নি এবং তার জমি-টাকাও ফেরত দেওয়া হয়নি। প্রধান শিক্ষক হযরত আলী জানান, চঞ্চল সভাপতি থাকাকালিন চারটি পদে নিয়োগের নামে অন্তত: ১০ জনের কাছ থেকে অগ্রিম বাবদ প্রায় এককোটি টাকা হাতিয়ে নেন।
এছাড়াও প্রতিমন্ত্রীর নাম করে সরাকরি এবং বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকুরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন বক্তির কাছ থেকে অন্তত: তিন কোটি টাকা হাতিয়ে নেন। কিন্তু ৫ আগষ্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পাওনাদারদের রোষানল থেকে রক্ষা পেতে অধ্যক্ষ চঞ্চল বাড়ি-জমি বিক্রি করে লাপাত্তা হন। এ দিকে দিনমজুরের স্ত্রী হালিমা খাতুন জমি-টাকা খুইয়ে এখন পথে বসেছেন।
ফলে জমি ও টাকা ফেরত পেতে হালিমা ও তার পরিবার দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। গভর্নিংবডির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিশাত তামান্না জানান, পাওনাদারদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে চঞ্চল ভট্টাচার্য্যরে বিরুদ্ধে আদালতে সরনাপন্ন হতে। অবশ্য ইতিমধ্যে সহকারি অধ্যাপক লিয়াকত আলীকে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সকল অভিযোগ সম্পর্কে অজ্ঞাত স্থান থেকে চঞ্চল ভট্টাচার্য্য হটসঅ্যাপে বলেন,অচিরেই হালিমাসহ অন্য পাওনাদারকে তাদের পাওনা পরিশোধ করা হবে।
কিউএনবি/আয়শা/১৮ নভেম্বর ২০২৪,/সন্ধ্যা ৭:৩০