সোমবার, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮:০৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম
ভারতীয় জনগণের মূল্যে ব্রাহ্মণরা মুনাফা করছে: ট্রাম্পের বাণিজ্য উপদেষ্টা পিটার নাভারো নাসুম-তাসকিনের তোপে পাওয়ার প্লেতে ৩ উইকেট হারাল নেদারল্যান্ডস আহত আফগান নারীদের পুরুষদের তুলনায় দেরিতে চিকিৎসা দেয়া হতে পারে বলে আশঙ্কা অন্তর্বর্তী সরকারকে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস সেনাপ্রধানের আজকের স্বর্ণের দাম: ১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করলো যুক্তরাষ্ট্র চবিতে সংঘর্ষ : হাসপাতালে ভর্তি ১২ শিক্ষার্থী, দুজন লাইফ সাপোর্টে মালয়েশিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় দুই বাংলাদেশির মৃত্যু খালি পেটে দুধ চা খাচ্ছেন? জেনে নিন পুষ্টিবিদের সতর্কবার্তা নারী বিশ্বকাপে থাকছে ছেলেদের বিশ্বকাপের চেয়েও বেশি প্রাইজমানি

কোন কাজকে নবীজি চোখের জিনা বলেছেন?

Reporter Name
  • Update Time : বুধবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২৪
  • ৪৮ Time View

ডেস্ক নিউজ :  মাওলানা নোমান বিল্লাহ

আল্লাহ তাআলা অন্যান্য বিষয় সরাসরি হারাম করেছেন কিন্তু জিনা এমন এক বিষয় যার সংশ্লিষ্ট কাজ থেকেও বেঁচে থাকতে বলেছেন। তিনি বলেন, আর জিনা-ব্যভিচারের কাছেও যেও না, তা হচ্ছে অশ্লীল কাজ আর অতি জঘন্য পথ। (সুরা বনি ইসরাইল ৩২)
আল্লাহ তা‘আলা শুধু যৌনকর্মকেই হারাম করেন নি, বরং তিনি এরই পাশাপাশি সব ধরনের অশ্লীলতাকেও হারাম করেছেন। তিনি বলেন,

 

হে নবী আপনি বলে দিন, নিশ্চয় আমার প্রভু হারাম করে দিয়েছেন প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য সকল ধরনের অশ্লীলতা, পাপকর্ম, অন্যায় বিদ্রোহ, আল্লাহ তা‘আলার সাথে কাউকে শরিক করা। (সুরা আরাফ ৩৩)

আল্লাহ তা‘আলা যখন ব্যভিচারকে নিষেধ করে দিয়েছেন তখন তিনি সে সকল পথকেও নীতিগতভাবে রোধ করে দিয়েছেন যেগুলোর মাধ্যমে স্বভাবত ব্যভিচার সংঘটিত হয়ে থাকে। এ জন্যই আল্লাহ তাআলা পুরুষ ও মহিলা উভয় জাতিকে লজ্জাস্থান হেফাজতের পূর্বে সর্বপ্রথম নিজ দৃষ্টিকে সংযত করতে আদেশ করেন।

আল্লাহ তাআলা মুমিন নারী-পুরুষকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘যেন তারা নিজ দৃষ্টিকে সংযত করে এবং নিজ লজ্জাস্থানকে হিফাযত করে। এটাই তাদের জন্য পবিত্র থাকার সর্বোত্তম মাধ্যম। নিশ্চয় আল্লাহ তা‘আলা তাদের আমল সম্পর্কে অধিক অবগত। (সুরা নুর ৩০-৩১)
আল্লাহ তাআলা বান্দাদের সতর্ক করে বলেন, ‘তিনি (আল্লাহ) চোখের অপব্যবহার এবং অন্তরের গোপন বস্তু সম্পর্কেও অবগত।’ (সুরা মুমিন ১৯)
আল্লাহ তাআলা কাউকে অন্য কারোর ঘরে বিনা অনুমতিতে প্রবেশ করতে নিষেধ করেছেন। যাতে চোখের অপব্যবহার না হয় এবং তা সম্পূর্ণরূপে রক্ষা পায় (সুরা নুর ২৭-২৮)। একই জায়গা থেকে নবীজি চোখের অশ্লীল দৃষ্টিকে ব্যভিচার বা জিনা সাব্যস্ত করে তা থেকে বেঁচে থাকতে বলেছেন। তিনি বলেন, 

غُضُّوْا أَبْصَارَكُمْ ، وَاحْفَظُوْا فُرُوْجَكُمْ অর্থাৎ তোমাদের চোখ নিম্নগামী করো এবং লজ্জাস্থান হেফাজত করো’। (আহমদ ৫/৩২৩)

হঠাৎ কোনো হারাম বস্তুর উপর চোখ পড়ে গেলে তা তড়িঘড়ি ফিরিয়ে নিতে হবে। দ্বিতীয়বার কিংবা একদৃষ্টে ওদিকে তাকিয়ে থাকা যাবে না। নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হজরত আলি (রা.)-কে উদ্দেশ্য করে বলেন,

يَا عَلِيُّ! لاَ تُتْبِعِ النَّظْرَةَ النَّظْرَةَ ، فَإِنَّ لَكَ الْأُوْلَى ، وَلَيْسَتْ لَكَ الْآخِرَةُ অর্থাৎ হে আলি, বারবার দৃষ্টি ক্ষেপণ করো না। কারণ, হঠাৎ দৃষ্টিতে তোমার কোনো দোষ নেই। তবে ইচ্ছাকৃত দ্বিতীয় দৃষ্টি অবশ্যই দোষের’। (আবু দাউদ ২১৪৯, তিরমিজি ২৭৭৭)

অশ্লীলভাবে তাকানোকে জিনা সাব্যস্ত করে নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা প্রত্যেক আদম সন্তানের জন্য জিনার কিছু অংশ বরাদ্দ করে রেখেছেন। যা সে অবশ্যই করবে। চোখের জিনা হচ্ছে অবৈধভাবে কারোর দিকে দৃষ্টি ক্ষেপণ, মুখের জিনা হচ্ছে অশ্লীল কথোপকথন, হাতও ব্যভিচার করে, তবে তার ব্যভিচার হচ্ছে অবৈধভাবে কাউকে হাত দিয়ে ধরা, পা-ও ব্যভিচার করে। তবে তার ব্যভিচার হচ্ছে কোনো ব্যভিচার সংঘটনের জন্য রওয়ানা করা, মুখও ব্যভিচার করে। তবে তার ব্যভিচার হচ্ছে অবৈধভাবে কাউকে চুমু দেয়া, কানের ব্যভিচার হচ্ছে অশ্লীল কথা শ্রবণ করা, মনও ব্যভিচারের কামনা-বাসনা করে। আর তখনই লজ্জাস্থান তা বাস্তবায়িত করে অথবা করে না। (আবু দাউদ ২১৫২)

নারী ও পুরুষের উচিত নয় মাহরাম ব্যক্তিদের ছাড়া অন্য কারও প্রতি তাকানো। এতে করে যেমন চোখের ব্যভিচার হয় তেমনই ইবাদত করার আগ্রহ ও স্বাদ নষ্ট হয়ে যায়। তবে যদি কখনো চোখের গুনাহ হয়ে থাকে তাহলে বেশি বেশি ইস্তেগফার করতে হবে। ভবিষ্যতে এমন আচরণ থেকে বেঁচে থাকার চেষ্টা করতে হবে। তাহলে আল্লাহ তাআলা ক্ষমা করবেন ইনশাআল্লাহ।

 

 

কিউএনবি/আয়শা/৩০ অক্টোবর ২০২৪,/রাত ৯:০৫

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

September 2025
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
3031  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit