এর নির্মাণের পেছনে মূল উদ্দেশ্য ছিল ইসলামের প্রচার ও প্রসার এবং একটি দৃষ্টিনন্দন ইসলামি স্থাপত্যের সৃষ্টি করা, যা একাধারে ঐতিহ্যবাহী ও আধুনিকতার মেলবন্ধন ঘটিয়েছে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিল্পী ও স্থপতিরা একত্রিত হয়ে মসজিদটির নির্মাণকাজে অংশগ্রহণ করেছেন। যদিও এর নির্মাণ ব্যয়ের সঠিক পরিমাণ জানা যায়নি, এটি নিশ্চিত যে, এটি বিশ্বের অন্যতম ব্যয়বহুল মসজিদগুলোর মধ্যে একটি। ৪০,০০০ এরও বেশি মুসল্লি এখানে একসাথে নামাজ আদায় করতে পারেন।
মসজিদটিতে রয়েছে অত্যাধুনিক শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা, কোরআন শিক্ষার সুযোগ, গবেষণা কেন্দ্র এবং বিশাল মসজিদ চত্বর, যা নামাজিদের জন্য সবধরনের সুবিধা নিশ্চিত করে।
শেখ জায়েদ গ্র্যান্ড মসজিদের স্থাপত্যের সৌন্দর্য বর্ণনা করা সত্যিই কঠিন। মসজিদটির নির্মাণে ব্যবহৃত হয়েছে স্বর্ণ, মার্বেল এবং মূল্যবান পাথর, যা এর জাঁকজমকপূর্ণ সৌন্দর্যকে আরও বৃদ্ধি করেছে। এর মূল গম্বুজটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় গম্বুজগুলোর মধ্যে একটি, যা মসজিদটির স্থাপত্য শৈলীর গৌরব বহন করে।
মসজিদটিতে আধুনিক স্থাপত্যশৈলীর পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের প্রযুক্তির ব্যবহারও লক্ষণীয়। ইসলামি শিক্ষা ও গবেষণার জন্য মসজিদটিতে রয়েছে নানা ব্যবস্থা, যা আধুনিক মুসলিম সমাজের জন্য একটি মাইলফলক স্থাপনা হিসেবে বিবেচিত। শেখ জায়েদ গ্র্যান্ড মসজিদ শুধু একটি উপাসনালয় নয়, এটি আধুনিক ইসলামি স্থাপত্যের এক অবিস্মরণীয় নিদর্শন।