ডেস্ক নিউজ : প্রশ্ন: কেউ যদি চুরি করা টাকা বা অবৈধ টাকা দিয়ে রিকশা কিনে তা ভাড়ায় বা নিজে চালায় এবং টাকা ইনকাম করে সেটা কি হারাম? ওই টাকা দিয়ে যদি বৃক্ষ রোপন করে তাহলে সেই বৃক্ষের ফলও কি হারাম?
১. প্রথম প্রকার
আল্লাহর হুকুম অমান্য করে অবৈধ পন্থায় অর্জিত সম্পদ। যেমন সুদের কারবার করে গড়া সম্পদ, মদ বিক্রি করা সম্পদ, নাচ-গান করে উপার্জিত সম্পদ, দেহ ব্যবসা করে প্রাপ্ত সম্পদ, জুয়াবাজি থেকে প্রাপ্ত সম্পদ।
২. দ্বিতীয় প্রকার
বান্দার হক নষ্ট করে গড়া সম্পদ। যেমন ডাকাতি, ছিনতাই, চুরি, জবরদখল করে বানানো সম্পদ।
প্রথম প্রকারের হারাম সম্পদ দিয়ে রিকশা ক্রয় করে ওই রিকসা চালিয়ে উপার্জন করলে উপার্জিত সম্পদ সম্পর্কে ওলামাদের বিভিন্ন মতামত রয়েছে।
আল্লামা ইবনে তাইমিয়াহসহ আরবের অনেক আলেমদের মত হল- এই হারাম রিকশা কিংবা হারাম সম্পদের পেছনে মেহনত করে উপার্জিত মুনাফা ভোগ করা যাবে। কেননা এই মুনাফা অর্জনের পেছনে রয়েছে তার শ্রম সময় ও মেধা। তাই এই মুনাফা সেই ভোগ করতে পারবে।
আর মূল পুঁজি হিসেবে যেই হারাম সম্পদ কাজে লাগিয়েছিল সেটি দ্রুত সময়ের মধ্যে নিজের মালিকানা থেকে বের করে সওয়াবের নিয়ত ছাড়া সদাকা করে দেবে। যদিও সাবধানতা এবং তাকওয়ার মাসআলা হল এখান থেকে উপার্জিত সম্পদও ভোগ না করা।
দ্বিতীয় প্রকারের সম্পদ কাজে লাগিয়ে মুনাফা অর্জন করলে মূল পুঁজি ও মুনাফা উভয়টাই মালিকের কাছে ফেরত দিতে হবে। অবশ্য তার শ্রমের বিনিময় মালিকের কাছ থেকে কিছু চেয়ে নেওয়া অসঙ্গত হবে না।
যেমন কারো জমি জবরদখল করল এরপরে সময় অর্থ ও শ্রম ব্যয় করে চাষাবাদ করলো জমিনে ফসল হলো।
এখানে মূল মাসআলা হল, জমিন এবং ফসল সবটাই মালিকের কাছে ফেরত দেওয়া। তবে নিজের থেকে যেটুকু অর্থ বের করেছে এবং যা শ্রম দিয়েছে সেটুকু মালিকের কাছ থেকে চেয়ে নিতে অসুবিধে নেই।
আপনার প্রশ্নের বর্ণিত রিকশা এবং বৃক্ষ যদি প্রথম প্রকারের হারাম মাল হয়ে থাকে তাহলে ওই বৃক্ষ থেকে প্রাপ্ত ফল এবং রিকশা চালিয়ে অর্জিত ধন ভোগ করা যেতে পারে।
আর যদি এই রিকশা চুরি করে আনা হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে রিকশা এবং তার মাধ্যমে উপার্জিত টাকা সবই মালিকের কাছে ফেরত দিবে। অবশেষে রিকশা চালানোর জন্য নিজের পারিশ্রমিক হিসেবে কিছু চেয়ে নেবে।
কিউএনবি/আয়শা/৩১ জুলাই ২০২৫,/বিকাল ৫:৫৫