মো. সাইদুল আনাম, কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি : কুষ্টিয়ার দৌলতপুর প্রেসক্লাবের সদস্য সাংবাদিক শহিদুল ইসলাম সোহাগের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ৩ মাস অতিবাহিত হলেও হামলার সঙ্গে জড়িত কোন অপরাধীকে সনাক্ত করতে পারেনী পুলিশ। তিনি গত ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসের ৪ তারিখ দিবাগত রাতে দৌলতপুর উপজেলার বাজারে অবস্থিত নিজ কার্যালয় থেকে নিউজের কাজ শেষ করে বাড়ী ফেরার সময় ৭-৮জন সশস্ত্র সন্ত্রাসীর অতর্কিত হামলার শিকার হন।
সেসময় সাংবাদিক সোহাগ গুরুতর আহত হলে দৌলতপুর সরকারি হাসপাতাল এবং পরে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতাল চিকিৎসা গ্রহণ করেন। এর পরও কিছু শারীরিক সমস্যা হলে কুষ্টিয়ার বিভিন্ন বে-সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নেন তিনি। এ ঘটনায় দৌলতপুরের সাংবাদিক সমাজ ও মানবাধিকার কর্মীরা তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন, প্রতিবাদসহ মানববন্ধন করেছিলেন।
সাংবাদিক সোহাগ জানান, সেদিন রাত ১টার পরে নিউজের কাজ শেষ করে মোটর সাইকেল যোগে বাড়ী ফেরার পথে হঠাৎ অতর্কিত হামলায় চালায় সশস্ত্র সন্ত্রাসী হেলমেট বাহিনী। কে বা কাহারা এই হামলায় জড়িত তখন বুঝতে না পারলেও তার ধারনা কয়েকটি সংবাদ প্রকাশ অথবা সংবাদ প্রকাশের জন্য তথ্য সংগ্রহ করার কারনেই তার ওপর হামলা চালানো হয়।
সেই হামলার ঘটনায় অজ্ঞাত ৭-৮ জনের বিরুদ্ধে দৌলতপুর থানায় নিজে বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন তিনি যার নম্বর ১১, তারিখ ০৫ নভেম্বর ২০২৩ ইং। এতোদিন পার হয়ে গেলেও মামলার কোন অগ্রগতি না থাকায় আক্ষেপ করে তিনি বলেন, মামলা হওয়ার ৩ মাসেও কোন অপরাধি সনাক্ত করতে পারেননি থানা পুলিশ এটা খুব কষ্টের বিষয়।
তিনি আরো বলেন, হামলার পর থেকে চিকিৎসার পিছনে প্রচুর অর্থ ব্যয় হলেও এখনো সম্পর্ন সুস্থ্য হতে পারেননি তিনি। এখনও মাঝে মধ্যে মাথা চোয়াল ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে সমস্যা দেখা দেয়। ডাক্তার বলেছিলেন ১৫ দিন পরপর দেখাতে এবং সেভাবেই ডাক্তারের স্মরণাপন্ন হন তিনি।
সাংবাদিকের ওপর সন্ত্রাসী হামলা মামলার ব্যাপারে দৌলতপুর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, এখনও মামলার তেমন কোন অগ্রগতি নেই। এখন পর্যন্ত আসামী সনাক্ত করতে পারা যাইনি। এই মুহুর্তে বাদীর করনিও কি? এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, বাদী যদি চাই মামলা অন্য কোন সংস্থাকে দিয়ে তদন্ত চালানোর ব্যবস্থা করতে পরে বলে জানান তিনি।
কিউএনবি/আয়শা/৩১ জানুয়ারী ২০২৪,/সন্ধ্যা ৬:৩৮