বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৫:৪৯ পূর্বাহ্ন

ঢাকায় চলছে করোনার টিকা কার্যক্রম

Reporter Name
  • Update Time : মঙ্গলবার, ২৩ জানুয়ারী, ২০২৪
  • ৯৩ Time View

ডেস্ক নিউজ : দেশে আবারও বাড়ছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। নতুন কোনো ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা না থাকলেও দ্রুত টিকা দিতে নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। গত ২১ জানুয়ারি থেকে ঢাকার ৯টি কেন্দ্রে শুরু হয়েছে টিকা কার্যক্রম। মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদফতরের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ব্যবস্থাপনা টাস্কফোর্স বিভাগের সদস্য সচিব ডা. মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, আমরা প্রয়োজনীয় টিকা কেন্দ্রে পাঠিয়ে দিয়েছি, টিকা কার্যক্রম চলছে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সম্মুখসারির স্বাস্থ্যকর্মী, ৬০ বছর এবং তদূর্ধ্ব বয়সী জনগোষ্ঠী, দীর্ঘমেয়াদি রোগে আক্রান্ত ১৮ বছর এবং তদূর্ধ্ব বয়সী জনগোষ্ঠী, স্বল্প রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্নপ্রাপ্ত বয়স্ক (১৮ বছর এবং তদূর্ধ্ব) জনগোষ্ঠী ও অন্তঃসত্ত্বা নারীদের প্রাধান্য দিয়ে টিকা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সবাইকে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে গিয়ে টিকা নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’

এর আগে, স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো নির্দেশনায় বলা হয়, দেশব্যাপী করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে ফাইজার কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন কার্যক্রমের ১ম, ২য় এবং বুস্টার ডোজ (৩য়, ৪র্থ ডোজ) বিতরণ এবং প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। শিগগিরই কোভিড-১৯ টিকাদান কার্যক্রম শুরু করতে হবে।

পরে ধাপে ধাপে ঢাকার বিভিন্ন বিশেষায়িত ইনস্টিটিউট ও সরকারি হাসপাতাল, ঢাকার বাইরের সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এবং জেলা পর্যায়ের হাসপাতালগুলোতে ভ্যাকসিন বিতরণের মাধ্যমে কোভিড-১৯ টিকাদান কার্যক্রম পরিচালিত হবে।

কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ১ম এবং ২য় ডোজের ক্ষেত্রে ফাইজার আরটিইউ ভ্যাকসিন ব্যবহার করতে হবে। প্রাথমিকভাবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতাল, মহাখালী এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নয়াবাজার ঢাকা মহানগর জেনারেল হাসপাতালে এই টিকা প্রদান করা হবে।

নির্দেশনায় বলা হয়, ১ম এবং ২য় ডোজ টিকা প্রাপ্তির প্রমাণস্বরূপ ভ্যাকসিনের নাম এবং তারিখ উল্লেখপূর্বক কোভিড-১৯ টিকাদান কার্ড সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে প্রদান করা হবে। ৩য় এবং ৪র্থ ডোজ টিকার ক্ষেত্রে সুরক্ষা ওয়েবসাইট অথবা অ্যাপ থেকে টিকাকার্ড ডাউনলোড করে সঙ্গে আনতে হবে; এমআইএস, স্বাস্থ্য অধিদফতরে পূর্ব নির্ধারিত উপায়ে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনেশনের রিপোর্ট প্রদান করতে হবে।

দেশে এখন পর্যন্ত ২০ লাখ ৪৬ হাজার ৭৮৮ জনের করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ১৪ হাজার ১৭৯ জন। আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ২৯ হাজার ৪৮১ জন মারা গেছেন।

এরই মধ্যে বাংলাদেশে করোনার ওমিক্রন ধরনের একটি উপধরন জেএন.১–তে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। দ্রুত ছড়ানোর কারণে জেএন.১–কে ‘ভেরিয়েন্ট অব ইন্টারেস্ট’ হিসেবে অভিহিত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এমন পরিস্থিতিতে হাসপাতাল কিংবা চিকিৎসাকেন্দ্রে গেলে যাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কম, তাদের মাস্ক ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।

 

 

কিউএনবি/আয়শা/২৩ জানুয়ারী ২০২৪,/দুপুর ২:৪৩

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

September 2025
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
3031  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit