মো. সাইদুল আনাম, কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি : শেষ মুহুর্তে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরেও নির্বাচনী প্রচার প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা। মিছিল, মিটিং ও শোডাউনে মুখর হয়ে উঠেছে দৌলতপুরের জনপদ। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত গ্রাম, পাড়া মহল্লাসহ হাটে-বজারে গণসংযোগ, পথসভা, উঠান বৈঠক করে নানা প্রতিশ্রুতির ফুলঝুরি নিয়ে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ছুটে যাচ্ছেন তারা।
কুষ্টিয়া-১ দৌলতপুর আসনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্রসহ মোট ১০ প্রার্থী থাকলেও নির্বাচনী মাঠ সরগরম রেখেছেন তিনজন। আসনটিতে ত্রিমুখী ভোটের লড়াই হতে পারে এমনটিই ধারণা করা হচ্ছে। ভোটাররা বলছেন, ‘এদের মধ্যে প্রচার প্রচারনায় আরো একধাপ এগিয়ে শক্ত অবস্থানে রয়েছেন ‘ট্রাক’ মার্কা নিয়ে প্রতিদ্ব›দ্বিতায় থাকা আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি স্বতন্ত্র প্রার্থী দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আলহাজ্ব রেজাউল হক চৌধুরী। তিনি কর্মী-সমর্থক নিয়ে নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন’।
এছাড়া জোর প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ‘ঈগল’ প্রতীকের নাজমুল হুদা পটল। তিনি দৌলতপুর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক এমপি প্রয়াত আফাজ উদ্দিন আহমেদের বড় ছেলে এবং এবারের নির্বাচনে নতুন মুখ। আসনটিতে দৌলতপুর আওয়ামী লীগের সভাপতি আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা’র প্রার্থী অ্যাডভোকেট আঃ কাঃ মঃ সরওয়ার জাহান বাদশাহ এমপি। তিনিও তাঁর-কর্মী-সমর্থক নিয়ে নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। তবে স্থানীয় আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা বলছেন, ‘উপজেলা আওয়ামী লীগে প্রকট গৃহবিবাদ থাকায় অনেকটা বেকায়দায় আছেন সরওয়ার জাহান বাদশাহ’। আসনটিতে ত্রিমুখী ভোটের লড়াই হতে পারে ‘ট্রাক, ঈগল, ও নৌকা’ প্রতীকের প্রার্থীর মধ্যে এমনটিই ধারণা ভোটারদের।
এছাড়াও যারা নির্বাচনের প্রচারনায় রয়েছেন তাদের মধ্যে লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাবেক মন্ত্রী প্রয়াত কোরবান আলীর ছেলে শাহরিয়ার জামিল জুয়েল, জাসদ সমর্থিত মশাল প্রতীকের প্রার্থী শরিফুল কবীর স্বপন, কেটলি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ফিরোজ আল মামুন। ওয়াকার্স পার্টির প্রার্থী হাতুড়ি প্রতীকের কমরেড মজিবর রহমান, বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টির প্রার্থী ডাব প্রতীকের সেলিম রেজা নিজের মত করে প্রচারনা চালাচ্ছেন।
বাঁকী ২ প্রার্থীর ভোটের মাঠে দেখা পায়নি ভোটাররা। ভোটযুদ্ধে নির্বাচনের মাঠে যারা রয়েছেন তারা সকলেই জয়ী হওয়ার ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী। সে লক্ষ্যে তারা প্রচার প্রচারণায় দিনরাত ব্যস্ত সময় পার করছেন। তবে সাধারণ ভোটাররা মনে করেন যাকে দিয়ে এলাকার উন্নয়ন হবে এবং শান্তিতে বসবাস করতে পারবো তাকেই ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন।
কিউএনবি/আয়শা/০৪ জানুয়ারী ২০২৪,/সন্ধ্যা ৭:৫০