আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রাতে লোকালয়ে ঢুকে সবার অলক্ষ্যে একটি বাড়ির পাঁচিলের উপর আশ্রয় নিয়েছিল বাঘ। আশপাশের কেউ টেরই পায়নি এক নতুন ‘অতিথি’ পাড়ায় এসেছে। তবে অতিথিকে প্রথম দেখতে পান বাড়ির মালিকই। কয়েক হাত দূরেই বিশাল চেহারার এক বাঘ দেখে তার প্রায় জ্ঞান হারানোর অবস্থা হয়েছিল। তবে নিজেকে সামলে নেন তিনি। বিষয়টি সবাইকে জানান। এরপর সেই খবর মুহূর্তেই দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে।
এদিকে এ ঘটনায় গ্রামে আতঙ্ক ছড়ালেও দিনের আলোয় আরাম করে রোদ পোহাচ্ছিল বাঘটি। খবর পেয়ে বন বিভাগের কর্মীরা এসে বাঘটি ধরার জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করে। বাড়ির আশপাশ জাল দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়। বাঘের মুখে-চোখে ফেলা হয় আলো। কিন্তু তার কোনো নড়াচড়া নেই। গা এলিয়ে পাঁচিলের উপর ঝিমাচ্ছিল সে।
গ্রামবাসীদের ভিড়, হট্টগোল, চিৎকার-চেঁচামেচি কিছুই যেন তোয়াক্কা করেনি বাঘটি। বরং শীতের সকালের মিষ্টি রোদেই ছিল তার সব আগ্রহ। তবে একটু পর রোদের তেজ বাড়তেই পাঁচিলে দাঁড়িয়ে যায় সে। একটু পর আড়মোড়া ভেঙে আবার গা এলিয়ে দেয় পাঁচিলে। একপর্যায়ে প্রায় ১২ ঘণ্টা পর ঘুমপাড়ানি গুলি দিয়ে কাবু করা হয় বাঘটিকে।
ঘটনাটি ভারতের উত্তরপ্রদেশের পিলিভিটের আটকোণা গ্রামের। বনবিভাগ জানিয়েছে, সোমবার রাতে লোকালয়ে ঢুকে পড়া বাঘটি কাউকে আক্রমণ করেনি।