শহিদ আহমেদ খান সাবের,সিলেট প্রতিনিধি : শিল্প-সংস্কৃতি ঋদ্ধ সৃজনশীল মানবিক বাংলাদেশ গড়ার অভিলক্ষ্যে অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় শিল্প নিয়ে পৌঁছে যাবো আমরা উন্নতির শিখরে এই প্রতিপাদ্যে গণজাগরণের শিল্প আন্দোলন কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য দেশব্যাপী শিল্পযজ্ঞ পরিচালনা করছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় সর্বসাধারণকে সম্পৃক্ত ও অনুপ্রাণিত করতে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি দেশব্যাপী ৮টি বিভাগের ৬৪টি জেলায় ২ ডিসেম্বর থেকে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত আয়োজন করেছে গণজাগরণের সাংস্কৃতিক উৎসব। এরই ধারাবাহিকতায় আজ ৮ ডিসেম্বর সিলেট বিভাগের ৪টি জেলা শিল্পকলা একাডেমির ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠিত হয়েছে গণজাগরণের সাংস্কৃতিক উৎসব। বিকাল ৪টায় নগরীর পূর্ব শাহী ঈদগাহস্থ জেলা শিল্পকলা একাডেমির মিলনায়তনে আয়োজন করা হয় গণজাগরণের সাংস্কৃতিক উৎসব। উৎসবে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। এতে সভাপতিত্ব করেন সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ মোবারক হোসেন।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা কালচারাল অফিসার অসিত বরণ দাশ গুপ্ত। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির চারুকলা বিভাগের পরিচালক ও গণজাগরণের সাংস্কৃতিক উৎসবের সিলেট বিভাগীয় সমন্বয়কারী সৈয়দা মাহবুবা করিম। উদ্বোধনী পর্বে অনলাইনে সংযুক্ত ছিলেন হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক দেবী চন্দ, মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক ড. উর্মি বিনতে সালাম, সুনামগঞ্জ থেকে স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক দেওয়ান মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম প্রমুখ। এছাড়াও সিলেটে অন্যান্য অতিথির মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির মানবিক অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. আবুল ফতেহ ফাত্তাহ; সিলেট জেলা ও মহানগর মুক্তিযোদ্ধা ইউনিটের সাবেক ইউনিট কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সুব্রত চক্রবর্ত্তী জুয়েল ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ভবতোষ রায় বর্মণ; সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি হাসিনা বেগম চৌধুরী; বিশিষ্ট কবি ও গল্পকার জামান মাহবুব; বিশিষ্ট তথ্যচিত্র নির্মাতা নিরঞ্জন দে; সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট সিলেটের সাধারণ সম্পাদক গৌতম চক্রবর্ত্তী; সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেটের সভাপতি রজত কান্তি গুপ্ত ও সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ; বাংলাদেশ সংগীত সংগঠন সমন্বয় পরিষদ সিলেটের সাধারণ সম্পাদক বিপ্রদাস ভট্টাচার্য্য প্রমুখ।
আবৃত্তিশিল্পী রোহেনা সুলতানার সঞ্চালনায় সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মধ্যে দলীয় সংগীত পরিবেশন করেন জেলা শিল্পকলা একাডেমি সংগীত শিশু দল ও বড় দল; সিলেট ললিতকলা একাডেমি; গীতাঞ্জলি, সিলেট ও সুরের ভুবন, সিলেট। দলীয় নৃত্য পরিবেশনায় ছিলেন জেলা শিল্পকলা একাডেমি নৃত্য শিশু দল; ছন্দনৃত্যালয়, সিলেট ও একাডেমি ফর মণিপুরী কালচার এন্ড আর্ট। দলীয় আবৃত্তি পরিবেশন করেন জেলা শিল্পকলা একাডেমি আবৃত্তি দল ও চারুবাক, সিলেট। কবি কণ্ঠে কবিতা পাঠ করেন মোস্তাক আহমাদ দীন; পুলিন রায় ও সুমন বণিক। একক সংগীত পরিবেশন করেন হিমাংশু বিশ্বাস; জামাল উদ্দিন হাসান বান্না; বিরহী কালা মিয়া; বাউল সূর্য্যলাল দাস; শামীম আহমদ; ইকবাল সাঁই; বিথী রাণী নাথ; পল্লবী দাস মৌ ও প্রত্যাশা চৌধুরী পুষ্পা। একক নৃত্য পরিবেশনায় ছিলেন শিনিয়া সাহা ঝুমা; পপি দাস ও প্রতিভা রায় কেয়া। একক আবৃত্তি পরিবেশন করেন মোকাদ্দেস বাবুল ও নাজমা পারভীন।
কিউএনবি/অনিমা/০৯ ডিসেম্বর ২০২৩/সকাল ১০:২৭