গ্রেপ্তারের আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, নিহত রিংকু ও নাঈমের দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এই সম্পর্ক পরিবারে বাঁধা হয়ে দাঁড়ালে গত ২৭ (সোমবার ) নভেম্বর সকালে এই তারা কোর্ট ম্যারেজ করে বিয়ের জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়ে একটি অটো রিক্সায় করে রাজশাহী কোর্টের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। দুজনের মধ্যে নওগাঁ কোর্টে অথবা রাজশাহীতে কোর্ট ম্যারেজ করা নিয়ে তর্ক- বিতর্ক আর ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে সদর উপজেলার চকগৌড়ি মেইন রাস্তায় অটো রিক্সা থেকে রিংকু পড়ে যায়। মাথা ও হাত পায়ে গুরুতর যখম হলে তাকে বাঁচানোর জন্য তার প্রেমিক নাঈম দ্রুত মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার অবস্থা খারাপ দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। নাঈম ভয় পেয়ে তার বাবা আলাউদ্দীনের সাথে আলোচনা করলে তার বাবা রাজশাহী ইসলামী ব্যাংক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেয়। এর পর নাঈম দ্রুত একটি এ্যাম্বুলেন্স যোগে তাকে রাজশাহী ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানকার দায়িত্বরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষনা করেন। নাঈম ও তার বাবা ভয় পেয়ে রিংকুর মরদেহ রাতের আঁধারে তিলকপুর ইউনিয়ন এর নারায়ণপুর গ্রামের তুলশীগঙ্গা নদীর বেড়িবাঁধের পাশে ফেলে পালিয়ে যায়।নওগাঁ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফয়সাল বিন আহসান বলেন, এ ঘটনায় দুই জায়গায় অভিযান চালিয়ে বাবা ও ছেলেকে আটক করা হয়েছে। আদালতে ১৬৪ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন। আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
কিউএনবি/অনিমা/০৩ ডিসেম্বর ২০২৩,/সকাল ১১:৪৬