এই বিষয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, নতুন করে অন্য কোনো বিরোধ না দেখা দিলে সীমান্ত খুলে দেয়ার ব্যাপারে উভয় দেশের কর্মকর্তারা একমত হয়েছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ১১ থেকে ১২ অক্টোবর রাতে আফগান তালেবান এবং তার সহযোগীরা পাকিস্তানের সীমান্ত চৌকিতে বিনা উস্কানিতে হামলা চালানোর পর দুই দেশের বাহিনীর মধ্যে সীমান্ত সংঘর্ষ শুরু হয়।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, সংঘর্ষের ফলে ২০০ জনেরও বেশি তালেবান এবং সংশ্লিষ্ট ‘জঙ্গি’ নিহত এবং মাতৃভূমি রক্ষায় ২৩ জন পাকিস্তানি সেনা শহীদ হন।
পাকিস্তান কান্দাহার প্রদেশ এবং কাবুলে সন্ত্রাসীদের লক্ষ্য করে আফগানিস্তানের গভীরে নির্ভুল হামলা চালায়। এরপর আফগানিস্তানের অনুরোধে ১৫ অক্টোবর ৪৮ ঘন্টার একটি অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়।
১৭ অক্টোবর অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি আরও ৪৮ ঘন্টা বাড়ানো হয়, যখন দুই দেশের প্রতিনিধিদল আরও আলোচনার জন্য কাতারের দোহায় যায়। রোববার কাতারের মধ্যস্থতায় আলোচনার সময় পাকিস্তান ও আফগানিস্তান তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মুহাম্মদ আসিফ যুদ্ধবিরতির চুক্তি ঘোষণা করেন, উভয় পক্ষ ২৫ অক্টোবর তুরস্কের ইস্তাম্বুলে বিস্তারিত বিষয় নিয়ে আলোচনা করার জন্য আবার বৈঠকে বসবে বলে জানানো হয়।
তালেবান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদও এই অগ্রগতির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন যে, পক্ষগুলো একটি সম্পূর্ণ এবং অর্থবহ যুদ্ধবিরতির বিষয়ে একমত হয়েছে।