আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, সোমবার (২৭ নভেম্বর) রাত থেকে টানেলে ‘ম্যানুয়াল ড্রিলিং’ শুরু করেছেন উদ্ধারকর্মীরা। এর আগে ‘ভার্টিকাল ড্রিলং’ এর মাধ্যমে শ্রমিকদের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করা হচ্ছিল। কিন্তু শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) উদ্ধারকাজে ব্যবহৃত যন্ত্রটি বিকল হয়ে যাওয়ার পর ‘ম্যানুয়াল ড্রিলিং’ শুরু করা হয়।
এ বিষয়ে মাইক্রো টানেলিং বিশেষজ্ঞ ক্রিস কুমার বলেন, ‘গতকাল (সোমবার) রাতে বেশ ভালো গতিতে কাজ এগিয়েছে। আমরা এরইমধ্যে ৫০ মিটার পার করে ফেলেছি। এখন আর মাত্র ৫ থেকে ৬ মিটার খুঁড়তে হবে আমাদের।’ এছাড়া রাতে টানেল খুঁড়তে কোনো সমস্যা হয়নি বলেও জানান তিনি।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সোমবার রাতে ১২ জন বিশেষজ্ঞ ও ৬ জন শ্রমিক ‘ম্যানুয়াল ড্রিল’ শুরু করেন। এখন পর্যন্ত ম্যানুয়াল ড্রিল পদ্ধতিতে ২ মিটার গর্ত করা সম্ভব হয়েছে। এদিকে ভার্টিকাল ড্রিলের মাধ্যমে টানেলের ওপর দিয়ে শ্রমিকদের কাছে পৌঁছাতে ৮৬ মিটার খনন করতে হতো; যার ৪০ শতাংশই খুঁড়ে ফেলেছেন উদ্ধারকর্মীরা।
এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় কুমার ভাল্লা, উত্তরাখণ্ডের মুখ্যসচিব এসএস সান্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব প্রমোদ কুমার মিশ্র। এসময় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব প্রমোদ কুমার মিশ্র আটকে থাকা শ্রমিকদের আশ্বাস দিয়ে জানান, তাদের শিগগিরই উদ্ধার করা হবে।
গত ১২ নভেম্বর উত্তরাখণ্ডের সিল্কইয়ারা ও দান্দানগাঁওকে সংযুক্তকারী টানেল নির্মাণকাজ শেষে বের হচ্ছিলেন নাইট শিফটের শ্রমিকরা। এ সময় ডে শিফটের শ্রমিকরা প্রবেশ করতে গেলে হঠাৎ করেই সেটি ধসে পড়ে। এতে সেখানে ৪১ জন শ্রমিক আটকা পড়েন।
কিউএনবি/আয়শা/২৮ নভেম্বর ২০২৩,/সন্ধ্যা ৬:৪০