আখাউড়ায় প্রাইমারী স্কুলের আঙিনায় ফল ও সবজি বাগান
Reporter Name
Update Time :
মঙ্গলবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
১১৭
Time View
বাদল আহাম্মদ খান ,ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি : স্কুল মাঠের এক কোণে ছোট্ট একটি বাগান। জাতীয় পতাকার লাল—সবুজ রংয়ের বেড়া দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে বাগানটি। সেই বাগানে রয়েছে লেবু, কাঁচা মরিচ, ঢেড়শ, পেঁপে, পুইশাক, বেগুন, ডাটা, পেয়ারা, লাল শাক, কলমি শাক, আঁখ গাছসহ বিভিন্ন সবজির গাছ। শিক্ষকদের নির্দেশে ছাত্রছাত্রীরা নিজ হাতে বাগান পরিচর্যা করে। ইতোমধ্যে এসব বাগানের গাছে ফলন আসতে শুরু করেছে। বাগানের এসব ফল, সবজি দেখে ছাত্রছাত্রীরা উচ্ছস্বিত। অভিভাবকদেরও নজড় কাড়ছে এ পুষ্টি বাগান। এমন সুন্দর দৃশ্য ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার ৫৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। এটি আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার অংগ্যজাই মারমার একটি উদ্ভাবনী আইডিয়া। এর মাধ্যমে ছাত্র—ছাত্রীদের মনে একটি শুভ চিন্তার প্রতিফলন ঘটানো। গাছের যত্ন নেওয়া। কাজ করার মানসকিতা জাগ্রত করা। পাশাপাশি পুষ্টির চাহিদা মেটানো।
সরজমিনে সোমবার দুপুরে পৌরশহরের দেবগ্রাম, তারাগন, মোগড়া ও আমোদাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পুষ্টি বাগান দেখা গেছে। বাগানে পেঁপে, ঢেড়শ, কাঁচা মরিচ, পুইশাকসহ বিভিন্ন ফল ও সবজি চাষ করা হয়েছে। দেবগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সিদ্দিকা খাতুন বলেন, কয়েক মাস আগে বিদ্যালয়ের কাব শিশুদের নিয়ে পুষ্টি বাগান করা হয়েছে। বাচ্চারা নিজের হাতে গাছ লাগানো এবং পরিচর্যা করা শিখছে। বাগান দেখে ছাত্র ছাত্রীরা গাছ লাগানো ও সবজি বাগান করার ব্যাপারে উৎসাহী হয়ে উঠছে। কিছু পেপে আমরা খেয়েছি, বেশি হলে ছাত্রদেরকে দিব।
এ ব্যপারে আখাউড়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ লুৎফর রহমান বলেন, আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার অংগ্যজাই মারমা স্যারের একটি উদ্ভাবনী আইডিয়া স্কুলে সামাজিক পুষ্টি বাগান করা। গত ৩ যাবত প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সামাজিক পুষ্টি গড়ে তুলার কাজ চলছে। বাগানে বিভিন্ন প্রকার পুষ্টিকর ফল ও সবজি চাষ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীরা নিজ হাতে বাগান করা, কাজ করার মানসিকতা জাগ্রত হবে। পরিশ্রমি হয়ে উঠছে। এসব সবজি ও ফল পুষ্টির চাহিদা পূরণে সহায়ক হবে।
এ ব্যপারে আখাউড়া উপাজেলা নির্বাহী অফিসার অংগ্যজাই মারমা বলেন, স্কুলে পুষ্টি বাগান করার উদ্দেশ্যে হলো অভিভাবকদের মধ্যে পুষ্টি বাগানের প্রয়োজনীয়তা শিশুর মাধ্যমে পৌঁছে দেয়া। ছাত্র—ছাত্রীদের মধ্যে একটি শুভ চিন্তার প্রতিফলন ঘটানো। এই বাগানের উৎপাদন হয়তো হবে সীমিত হবে। কিন্তু এর বার্তা সুদূর প্রসারী। আমাদের অনেকের বাসা বাড়িতে অনাবাদি জমি পতিত অবস্থায় থাকে, ব্যবহার হয় না। ছাত্রছাত্রীরা তাদের বাড়ির আঙিনায় কোন জায়গা খালি পড়ে থাকলে তা কাজে লাগাতে পারবে। এর মধ্যে দিয়ে তাদের দেহ ও মন সুস্থ থাকবে। তাছাড়া, ছাত্রছাত্রীরা শিক্ষকদের নির্দেশনায় দলগতভাবে কাজ করবে। সামস্তিকভাবে কাজ করবে। এর মধ্যে দিয়ে তারা শিখবে যে, ব্যক্তিগত অর্জনের চাইতে সামস্তিক অর্জন অনেক বেশি ফলদায়ক।