জালাল আহমদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি : আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এমপি বলেছেন,আমরা বাঙালি ।বঙ্গবন্ধু আমাদেরকে শিখিয়েছেন আমাদেরকে কেউ দাবায়ে রাখতে পারবেনা। বঙ্গবন্ধুকে আমাদের মন থেকে মুছে ফেলা যাবে না আমাদের মন থেকে মুছে ফেলতে দেব না।আজ ৩০ আগস্ট (২০২৩) বুধবার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে “বাংলাদেশ আইন সমিতি” কর্তৃক আয়োজিত এক ‘তথ্যচিত্র প্রদর্শনী ও আলোচনা সভা’য় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।বাংলাদেশ আইন সমিতির সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলামের সঞ্চালনায় এবং সভাপতি মঞ্জুর মোঃ শাহনেওয়াজ টিপুর সভাপতিত্বে আয়োজিত এই আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই এসোসিয়েশন এর সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মোল্লা আবু কাওসার,সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আবদুন নুর দুলাল,অ্যাটর্নী-জেনারেল আবু মোহাম্মদ আমিন উদ্দিন,আইন সচিব গোলাম সরোয়ার প্রমুখ।
আইনমন্ত্রী আরো বলেন, ছাত্র জীবনে শেখ মুজিবুর রহমান এবং আমার বাবা সিরাজুল হক বাচ্চু একসাথে কলকাতার বেকার হোস্টেলে থাকতেন।কলকাতা থেকে দেশে আসার সময় একসাথে মধুমতি নদী পাড়ি দিয়েছেন। সাঁতার কেটে আসার সময় দম ফুরিয়ে গেলে একজন আরেক জনকে সহযোগিতা করতেন।পঁচাত্তরের পর তাঁর বাবা সিরাজুল হকের রাজনৈতিক অবস্থান সম্পর্কে স্পষ্ট করে তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ই অক্টোবর বঙ্গভবনের দরবার হলে আমার পিতাই সর্বপ্রথম বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ করেছিলেন। খন্দকার মোশতাক আহমেদ কে রাষ্ট্রপতি না বলে, মোশতাক ভাই না বলে শুধুমাত্র ‘মোশতাক ! বলে সম্বোধন করেছিলেন।বক্তারা বলেন ,বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুর পর আইন অঙ্গনে এডভোকেট সিরাজুল হক বাচ্চুর ভূমিকা ছিল অনন্য এবং অসাধারণ।তাঁর কারণেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার বিচার সম্ভব হয়েছে।
সাংবাদিক সৈয়দ বোরহান উদ্দিন বলেন,” বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর আওয়ামী লীগের ভেতর থেকে কেন প্রতিবাদ হয় নি। আওয়ামী লীগ তখনই পরাজিত হয়,যখন এর ভেতর থেকে ষড়যন্ত্র শুরু হয়।তিনি আরো বলেন, ” একাত্তরের পরে বাংলাদেশ আবার একটা সন্ধিক্ষণে আছে।এখন আমাদের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রাকে মেনে নিতে পারছে না আমেরিকা।তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি প্রসঙ্গে অ্যার্টনী জেনারেল আবু মোহাম্মদ আমিন উদ্দিন বলেন, “আমাদের সংবিধানের মৌলিক কাঠামো হচ্ছে গণতন্ত্র। এটা( তত্ত্বাবধায়ক সরকার) আমাদের মৌলিক কাঠামোর সাথে সাংঘর্ষিক।তাই আদালত এটি বাতিল করে দিয়েছেন।শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ডঃ মোঃ ইউনূসের মামলার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আজকে বিদেশীরা আমাদের বিচারাধীন বিষয়ে তারা কথা বলেছেন।সুপ্রিম কোর্ট বলেছে তাঁর মামলা চলতে বাধা নেই।তাদের গাত্রদাহ বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।বাংলাদেশ কোথায় আর পাকিস্তান কোথায়?
আইন বিভাগের শিক্ষার্থীদের কে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন,” আপনারা দেশের মেধাবী শিক্ষার্থী।আপনারা সমাজের মানুষ কে বোঝান এই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহাল করার সুযোগ নেই।সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ আইন সমিতির সভাপতি মঞ্জুর মোঃ শাহনেওয়াজ টিপু বলেন,”একজন আনিসুল হক শুধু সংসদ সদস্য নয়, শুধু একজন মন্ত্রী নয়, তিনি একটা ইতিহাস।মরহুম সিরাজুল হক বাচ্চু আমার স্যার।বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যদের সপরিবারে হত্যার পর তিনিই প্রথম বিচারের দাবি করেছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার বিচার কার্যক্রমে আনিসুল হক, তার বাবা সিরাজুল হক বাচ্চু এবং সাবেক এটর্নী জেনারেল মাহবুবে আলম এর অবদান অনস্বীকার্য।অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগের কয়েক শত নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
কিউএনবি/অনিমা/৩০ অগাস্ট ২০২৩,/রাত ১০:৫৩