ডেস্ক নিউজ : একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে বড় ছেলে মাওলানা রফিক বিন সাঈদীর পাশেই চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়েছে। পিরোজপুর নতুন বাসস্ট্যান্ডসংলগ্ন তার নিজের নামে প্রতিষ্ঠিত সাঈদী ফাউন্ডেশনের মসজিদের পাশেই তাকে দাফন করা হয়।
জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমির অধ্যাপক মজিবর রহমান, সেক্রেটারি (ভারপ্রাপ্ত) এটিএম মাসুম, ছাত্রশিবিরের সভাপতি রাজিউর রহমান পলাশ, সেক্রেটারি মঞ্জুরুল ইসলামসহ বিভিন্ন জেলা উপজেলার সভাপতি-সম্পাদকরা জানাজায় উপস্থিত ছিলেন।
সাঈদীর মৃত্যুর খবর পিরোজপুরে ছড়িয়ে পড়লে শেষবারের মতো তাকে একনজর দেখতে মঙ্গলবার সকাল থেকেই পিরোজপুরসহ জেলার বাইরের বিভিন্ন এলাকা থেকে তার লাখ লাখ ভক্ত ও অনুরাগী সাঈদী ফাউন্ডেশনে ভিড় জমাতে থাকেন। ঢাকা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে পিরোজপুরে সাঈদী ফাউন্ডেশনে লাশ নিয়ে গেলে সেখানে লাখো মুসল্লি কান্নায় ভেঙে পড়েন।
এদিকে জেলায় জাতীয় শোক দিবস ও সাঈদীর মৃত্যুজনিত কারণে আইনশৃঙ্খলা বিভাগের সদস্যদের হিমশিম খেতে হয়েছে। অবশ্য আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং কোনো প্রকার অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি যাতে না হয় সেজন্য জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মাদ জাহেদুর রহমান এবং পুলিশ সুপার মো. শফিউর রহমানসহ ব্যাপকসংখ্যক পুলিশ, র্যাব ও গোয়েন্দা সংস্থা শহরকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেয়।
এদিকে ইন্দুরকানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আল মামুন জানান, সাঈদীর গ্রামের বাড়ি ইন্দুরকানী উপজেলা ও সাউথখালী গ্রামের সর্বত্র সতর্কতা জারি ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ২০০৬ সালে পিরোজপুর-১ আসন থেকে জামায়াত এবং ২০০১ সালে পুনরায় চার দলীয় ঐক্যজোট থেকে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।
সোমবার রাত ৮টা ৪০ মিনিটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেলে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যু হয়। প্রসঙ্গত, ২০১০ সালের ২৯ জুন রাজধানীর শাহীনবাগের বাসা থেকে গ্রেফতার হন সাঈদী। পরে ২ আগস্ট মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।
কিউএনবি/আয়শা/১৫ অগাস্ট ২০২৩,/সন্ধ্যা ৭:৫০