শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫, ০২:১৩ পূর্বাহ্ন

শরীয়তপুরে ১২দিন যাবত হোটেল কর্মচারী নিখোঁজ

খোরশেদ আলম বাবুল শরীয়তপুর প্রতিনিধি ।
  • Update Time : শুক্রবার, ৪ আগস্ট, ২০২৩
  • ২৪৩ Time View

খোরশেদ আলম বাবুল শরীয়তপুর প্রতিনিধি : তুষার খান (১২) নামে এক হোটেল কর্মচারী গত ২৫ জুলাই থেকে নিখোঁজ রয়েছে। তুষার মুন্সিগঞ্জের লৌহজং থানার হাড়িদিয়া গ্রামের দিপু খান ও ময়না বেগম দম্পতির সন্তান। ইতোপূর্বে স্বামীর কাজের সুবাদে তারা শরীয়তপুর সদর উপজেলার মনহর বাজার, প্রেমতলা ও বুড়িরহাট এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। স্বামীর অসুস্থতা ও অস্বচ্ছলতার কারনে শরীয়তপুর জেলা শহরের রাজগঞ্জ ব্রিজ সংলগ্ন মায়ের দোয়া হোটেলে ছেলেকে কাজে দেয় মা ময়না বেগম। ১১ দিন ধরে নিখোঁজ সন্তানকে খুঁজে না পেয়ে পাগল প্রায় মা ময়না। হোটেল মালিক আব্দুল খালেক খানও তার কর্মচারীকে খুঁজছেন বলে দাবী করেছেন। এই বিষয়ে তুষারের মা ময়না পালং মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।

তুষারের মা ময়না বেগম জানায়, তার ৫ সন্তানের মধ্যে তুষার দ্বিতীয়। স্বামী স’মিলে কাজ করার সময় কোমরে আঘাত পেয়ে অসুস্থ। অভাবের তাড়নায় ছেলেকে মায়ের দোয়া হোটেলে কাজ করতে দেয়। কাজের ২০ তিন শেষ হলে মালিকের ফোনে ছেলের সাথে কথা বলতে চায় সে। ধানাইপানাই করে বলে তুষার বিশ্রামে গেছে, নয়তো তার অন্য হোটেলে গেছে। আমার সাথে তুষারকে কথা বলতে দেয় না। গত ২৫ জুলাই জোরাজুরি করে তুষারের সাথে কথা বলতে চাই। তখন মালিক বলে তুষার বিশ্রামের জন্য গিয়ে আর ফিরে আসেনি। সেই থেকে ছেলেকে খুঁজতেছি। খুঁজতে খুঁজতে ছেলের থাকার ঘরে যাই। সেখানে ছেলের একটা শার্ট ও হোটেলে কয়েকটা শার্ট-প্যান্ট পেয়েছি। কিন্তু ছেলের কোন সন্ধান পাইনি। বড় ছেলেটা ঢাকায় কাজ করত তাকে নিয়েও তুষারকে খুঁজতেছি। ১১ দিনে কোন সন্ধান পাইনি। ঘরে অসুস্থ স্বামী আর শ্বাশুড়ী পিছনায় পড়া। তাদের রেখেও রাতদিন করে খোঁজাখুঁজি করছি। আমার ছেলেটার কোন সন্ধান পেলে মায়ের কলিজা শীতল হবে। (মা ময়না বেগম-০১৯৪৮৭০৮১৭২)।

হোটেল মালিক আব্দুল খালেক খান বলেন, তুষারের বাবা অসুস্থ হওয়ায় অর্থের অভাবে শিশু ছেলেটিকে ওর মা আমার হোটেলে কাজে রেখে গেছে। তুষার কোন ভারি কাজ করতো না। প্রতিদিন দুপুর ১২টা থেকে পালাক্রমে কর্মচারীদের বিশ্রাম দেই। তুষার বিশ্রামের কথা বলে সেই দিন বেলা ১১টার সময় হোটেল থেকে বের হয়ে যায়। কর্মচারীদের থাকা ও বিশ্রামের জন্য নতুন বাস স্ট্যান্ড এলাকায় বাসা রাখা আছে। তুষার সেখানে যায়নি। বিশ্রাম শেষে কাজে না ফেরায় তুষারের মায়ের সাথে ফোনে কথা বলে জানতে পারি সেখানেও যায়নি। সেই থেকে খোঁজাখুজি করতেছি। এখনও তুষারের সন্ধান পাইনি। পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: আক্তার হোসেন বলেন অভিযোগ পেয়ে বিভিন্ন স্থানে তল্লাসি অব্যাহত রেখেছি।

 

 

কিউএনবি/আয়শা/০৪ অগাস্ট ২০২৩,/দুপুর ২:৫৩

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

July 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit