বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫, ০৩:০৯ অপরাহ্ন

চৌগাছায় পানির অভাবে পাট জাগ দেওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় চাষী

এম এ রহিম চৌগাছা (যশোর) প্রতিনিধি ।
  • Update Time : সোমবার, ১০ জুলাই, ২০২৩
  • ২২৮ Time View

এম এ রহিম চৌগাছা (যশোর) : যশোরের চৌগাছায় পানির অভাবে পাট জাগ দেওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন চাষীরা। বর্ষার ভরা মৌসুম হলেও বৃষ্টির দেখা তেমন মেলেনি। মাঝে-মধ্যে দু-এক পসড়া বৃষ্টি হলেও তা খাল বিলে জমেনি। উপজেলার বুকচিরে বয়ে গেছে কপোতাক্ষ নদ। তবে গেল বছর থেকে নদ খননের কাজ শুরু হয়েছে। ফলে নদে পাটজাগ দিতে পারছেন না নদের দু-পাড়ের চাষীরা। এদিকে এলাকায় সরকারি বিল-বাওড়গুলো সরকার ব্যাক্তি মালিকানায় লিজ দেওয়ায় বিল-বাওড়ে পাট জাগ দিতে দিবে না। ফলে পাট জাগ দেওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন চাষীরা।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলাম বলেন, চলতি বছর উপজেলায় জি আর ও ৫২৪ জাতের ১৮৬০ হেক্টর ও তুষা ৮ রবি জাতের ১৫০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ করা হয়েছে। উপজেলার রামকৃষ্ণপুর গ্রামের পাট চাষী জহির উদ্দীন বলেন, এবার চাষের শুরুতে চাষিদের বৈরি আবহাওয়া মোকাবিলা করতে হয়। বৃষ্টি না হওয়ায় সেচ দিয়ে পাট বীজ বুনতে হয়েছে। খরার সময়ে মাঝেমধ্যে সেচ দিতে হয়। এতে পাট চাষের খরচ বেড়ে গেছে। বর্তমানে কোন-কোনএলাকায় আগাম জাতের পাট কাটা শুরু হয়েছে।

এ পাট কেটে তার আউশ ধান রোপন করছেন। খাল-বিলে পানি না জমায় দূরে নিয়ে জাগ দিতে হচ্ছে। এতে খরচ বাড়ছে। ঋতু পরিক্রমায় বর্ষাকাল চলছে। কিন্তু বর্ষার রূপ আকাশে ঘন কালো মেঘ, ঝমঝম বৃষ্টি নেই। মাঝেমধ্যে বৃষ্টি হলেও এখন পর্যন্ত খালবিলে পানি আসেনি, ভরেনি নদ-নদী। এ বছর পাটের দামও ভালো। কিন্তু পানির অভাবে পাট জাগ দেওয়া নিয়ে মহা-দুশ্চিন্তায় পড়েছেন পাটচাষীরা। এদিকে উপজেলার নারায়নপুর, পাশাপোল, ধুলিয়ানী, স্বরুপদাহ, ফুলসারা, চৌগাছা সদর ও সুখপুকুরিয়া ইউনিয়নের কিছু কিছু এলাকায় পাট কাটাশুরু করেছেন। নতুন পাট হাটেও উঠতে শুরু করেছে। প্রতি মণ পাট আড়াই থেকে তিন হাজার টাকা পর্যন্ত দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে পাট ভালো হলেও পানির অভাবে জাগ দিতে পারছেন না। অনেকে কেটে জমিতে রেখে দিয়েছেন।

উপজেলার রাজাপুর গ্রামের চাষী আতিয়ার রহমান জানান, এবার চাষ করা পাটের ভালো ফলন হবে। তবে পাট জাগ দেওয়া নিয়ে বেশ দুশ্চিন্তায় আছি। আমরা পাট কাটা শুরু করেনি। তবে আমাদের এলাকায় আগাম বুনা পাট অনেকে কাটছেন। নতুন পাট বাজারে প্রতি মণ দুই হাজার ৮৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। উপজেলা পাট উন্নয় কর্মকর্তা নিপা বিশ্বাস বলেন, উপজেলায় এ বছর ২৫৭৫ জন কৃষক পাট চাষ করেছেন। এ অঞ্চলে এবার পাট ভালো হয়েছে। তবে পানি ও জায়গার অভাবে পাট জাগে সমস্যা হচ্ছে। বৃষ্টির পরিমাণ বাড়লে সমস্যা কেটে যাবে বলে জানান তিনি।

 

 

কিউএনবি/আয়শা/১০ জুলাই ২০২৩,/রাত ৮:১৬

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

June 2025
M T W T F S S
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit