কোরবানির গোশত মূলত উচ্চমাত্রার প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার হয়ে থাকে। তাই উচ্চমাত্রার এই মাংস খাওয়ার আগে সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন,বাংলাদেশে আল্লাহর নামে গরু কিংবা খাসি কোরবানি বেশি হয়ে থাকে। এসব মাংসে স্যাচুরেইটেড ফ্যাট বেশি থাকায় তা রক্তনালিতে চর্বি জমার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
শুধু তাই নয়, রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাকেরও ঝুঁকি বাড়ায় এসব মাংস। তাই মাংস কাটার সময়ই দৃশ্যমান চর্বিগুলো মাংস থেকে আলাদা করে ফেলে দিন। এসব মাংস রান্নার সময় এড়িয়ে চলুন অতিরিক্ত তেল, মশলা।
পুষ্টিবিদদের মতে, এসব মাংস খাওয়ার আগে কিছু বিষয় অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে। যেমন মাংসের চেয়ে মাংসের ঝোল শরীরের জন্য বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। তাই খাওয়ার সময় যতটা সম্ভব মাংসের ঝোল খাওয়া এড়িয়ে চলুন। মাংস খাওয়ার ক্ষেত্রে রাউন্ড এবং লোইন বা সিরলোইন অঞ্চলের মাংস বেছে নিন। কারণ এসব স্থানের মাংসে চর্বির পরিমাণ চামড়া ছাড়ানো মুরগির রানের মাংসের চেয়েও কম থাকে।
এ ছাড়া আরও যে বিষয়টি মেনে চলতে পারেন তাহলো অল্প ক্ষুধা লাগলেই খাবার খেতে বসে পড়া। এতে বেশি পরিমাণে মাংস খাওয়া এড়িয়ে চলতে পারেন। শরীরে মাংসের কুপ্রভাব এড়াতে সালাদ, নানারকম সবজির আইটেম, ফল, ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার, দ্রুত খাবার হজমের জন্য বোরহানি কিংবা মিষ্টি দইকে অবশ্যই প্রাধান্য দিন।