বাদল আহাম্মদ খান ,ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া শুল্ক গুদামের বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যারে কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। গত ১৮ মে জেলা শহরের পাইকপাড়া এলাকার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মানিক মিয়া শুল্ক গুদামের বিভিন্ন অনিয়মের তদন্ত করার অনুরোধ জানিয়ে এ আবেদন করেন। শুল্ক গুদামের অনিয়ম দূরীকরণ ও সরকারের রাজস্বের স্বার্থে গত দেড় বছরের নিলামের ট্রেজারি চালান ও ডেলিভারী মেমো যাচাই করার আবেদন।
অভিযোগে বলা হয়, আখাউড়া শুল্ক গুদামে দীর্ঘদিন যাবত সিল টেন্ডার হয় না। সময় মত নিলাম না হওয়ায় কোটি কোটি টাকার পণ্য গুদামেই মেয়াদোর্ত্তীণ হয়ে নষ্ট হচ্ছে। মাঝে মধ্যে ওপেন নিলাম হলেও তা নিয়ম মোতাবেক হয় না। নিয়ম অনুযায়ী সর্বোচ্চ নিলাম ডাককারী ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে সরকারি কোষাগারে টাকা জমা দিয়ে মালের ডেলিভারী মেমো বুঝে নিবেন। কিন্তু আখাউড়ায় শুল্ক গুদামের নিলামকৃত পণ্যের মূল্য নগদ টাকায় গ্রহণ করা হয়। ডাককারীকে যে ডেলিভারী মেমো দেওয়া হয় তাতে কোন কোন জি.আর নম্বরের মালামাল এবং কি কি পণ্য নিলামে বিক্রি হয়েছে তা উল্লেখ করা হয় না।
পরে গুদাম কর্মকর্তারা তাদের ইচ্ছে মত টাকা জমা দেয়। ফলে সরকারি কোষাগারে কত টাকা জমা হয় কেউ জানে না। এতে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। যা সঠিকভাবে তদন্ত করলে প্রমান পাওয়া যাবে। মানিক মিয়া বলেন, ২০২২ সালের ১ জানুয়ারী থেকে ২০২৩ সালের ১৫ মে পর্যন্ত আখাউড়া শুল্ক গুদামের নিলামকৃত শীটের ট্রেজারি চালান ও ডেলিভারী মেমো যাচাই করলে অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রমান পাওয়া যাবে। তিনি আরও বলেন, আখাউড়া শুল্ক গুদাম কর্মকতা মোঃ আশরাফ উদ্দিন বিভিন্ন কৌশলে তার পছন্দের ব্যক্তিকে কম দামে মালামাল পাইয়ে দেয়। এতে সরকার ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে না। চিঠির অনুলিপি দেওয়া হয় কাস্টম্স এক্সাইজ ও ভ্যাট এর কুমিল্লা কমিশনার, শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বিজিবি’র কুমিল্লার সেক্টর কমান্ডার এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসককে।
কিউএনবি/অনিমা/০৩ জুন ২০২৩/সকাল ১০:২৪