মোঃ মাজহারুল ইসলাম,লালপুর (নাটোর) প্রতিনিধি : নাটোরের লালপুর উপজেলার আড়বাব গ্রামের আব্বাস আলী (৫৫)। তিনি জ্বর নিয়ে হাসপাতালে আসলে চিকিৎসক তাকে সিরাম ক্রিয়েটিনিন, ভিডাল টেস্ট আর সিবিসি টেষ্ট করতে দেন, তিনি কাগজ নিয়ে প্যাথলজি বিভাগে আসলে তার কাছ থেকে নগদ ২৮০ টাকা নেয় প্যাথলজির লোক, টাকার রশিদ চাইলে তা তাকে দেয়া হয়নি। ঘটনাটি নাটোরের লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের। আব্বাস আলীর মত প্রতিদিন শত শত রুগী আসে হাসপাতালে।
তাদের অনেকেরি অনেক ধরনের পরীক্ষা করার প্রয়োজন পড়ে। কিন্তু নিয়োম নিতিরি তোয়াক্কা না করে¬ প্যাথলজি বিভাগে রশিদ বই শেষ হওয়ার অজুহাতে রশিদ ছাড়াই নগদ টাকার বিনিময়ে রুগীদের বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষার করা হচ্ছে। এতে করে সরকারী খাতে অর্থ জমা না হয়ে সংশ্লিষ্টদের পকেট ভারি হচ্ছে। ফলে হাসপাতলটি দিনে দিনে অনিয়ম ও দুর্নিতির আখড়ায় পরিনত হচ্ছে।
হাসপাতাল কতৃপক্ষ জানায়, প্যাথলজি ও রেডিওলোজী বিভাগে মাস খানেক ধরে রশিদ বই শেষ হওয়ায় টাকা আদায় করে রোগীদের রশিদ দেওয়া হচ্ছে না। তবে হাসপাতাল কতৃপক্ষের দাবি তবে রশিদ না দিলেও প্রত্যেকটা পরিক্ষা-নিরিক্ষা রেজিষ্টার খাতায় এন্ট্রি করা হয়। এদিকে হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগের টেকনোলজিস্ট জাকির হোসেন অনিয়মের কথা স্বীকার করে বলেন, টাকার ফাংশনে কাজ করলে নয়-ছয় একটু হইতেই পারে, তবে রোগীরদের রশিদ না দিলেও নাম রেজিস্ট্রিারে এন্ট্রি করা হয়।
এবিষয়ে নাটোর জেলা সিভিল সার্জন ডা: মুহাম্মদ মশিউর রহমান বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। কখনো কখনো রিভিভ শেষ হয়ে যেতেই পারে। তখন সেটা কাগজে কলমে তাদের রাখতে হয়। তবে সেটা ৫/৭ দিনের বেশি হওয়ার সুযোগ নেই। এর মধ্য রিসিভ ছাপিয়ে নিতে হবে। এবিষয়ে দ্রুতই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কিউএনবি/অনিমা/০৪ মে ২০২৩,/বিকাল ৪:৩৬