স্থানীয়রা জানান, কাটাফাঁড়ি নদী পেকুয়াসহ উপকুলের ৪ টি ইউনিয়নের জন্য অত্যন্ত গুরুত্ব ও তাৎপর্য্য বহন করে। বাঁধ দিয়ে নদী দখলের ফলে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে পেকুয়ার ৪ টি ইউনিয়নের উপর। বিশেষ করে কাটাফাঁড়ি নদীর উপারে উজানটিয়া ইউনিয়নের অবস্থান। চর ও নদীর দখলের মূল পয়েন্ট হচ্ছে সদর ইউনিয়নের পশ্চিম সিরাদিয়া। এর নিকটবর্তী হচ্ছে উজানটিয়া ইউনিয়নের সুতাচোরার আতরআলী পাড়া ও ঠান্ডা পাড়ার কিছু অংশ। নদীটি গত এক যুগ ধরে বাঁক পরিবর্তন হয়েছে। এক সময় নদীটি গভীর খরস্রোতা ছিল। বর্তমানে কাটাফাঁড়ি নদীর বিপুল অংশ পলি ও কাঁদা মাটিতে ভরাট হয়েছে।মগনামা ইউনিয়নের বাইন্যাঘোনা ও সদর ইউনিয়নের পশ্চিম গোঁয়াখালী কাটাফাঁড়ি ব্রীজ থেকে সোজা দক্ষিণে সোনালী বাজার পর্যন্ত গিয়ে পূর্ব দিকে বাঁক পরিবর্তন হয়েছে। এরপর ঠান্ডারপাড়া নাগু ফকিরের মাজার অংশেও বাঁক হয়েছে। উত্তর ও পূর্ব দিকে সিরাদিয়া জেটিঘাট পর্যন্ত গিয়ে স্রোতধারা নদী মাতামুহুরীর সাথে মিশেছে। কাটাফাঁড়ি থেকে সিরাদিয়া জেটিঘাট পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার কাটাফাঁড়ি নদী ভরাটের মধ্যে পড়েছে।পশ্চিম সিরাদিয়ায় স্ক্যাভেটর দিয়ে মাটি কেটে চরে রিংবাঁধ দেওয়া হচ্ছে। এতে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে পানির স্রোত। পানির স্রোতধারা দক্ষিণ দিকে বাঁক নিচ্ছে। জোয়ার ভাটার পানির ধাক্কা লাগছে পার্শ্ববর্তী ইউনিয়ন উজানটিয়ার সুতাচোরায়। ওই পয়েন্টে পাউবোর বেড়িবাঁধ রয়েছে। সুতাচোরা বেড়িবাঁধেও চলছে এইচবিবি দ্বারা উন্নয়ন কাজ। চলতি অর্থ বছরে ঠান্ডার পাড়া থেকে আতরআলী পাড়া পর্যন্ত ১ কিলোমিটারে বসানো হচ্ছে ব্রিক সলিন। নদী দখলের ফলে বেড়িবাঁধসহ ওই রাস্তাটিও ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
কিউএনবি/অনিমা/২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩/বিকাল ৪:২০