তিনি বলেন, ২০২১ সালের শেষ দিকে করোনা যখন চলছিল তখন একটি দাবি উঠলো, যে আমাদের সংবিধানে নির্বাচন কমিশন গঠনে সব পদ্ধতি লেখা আছে। সেখানে বলা আছে, একটি আইন করতে হবে। বলা হলো সেই আইনটি নাই, তা করতে হবে। আমার কাছে একটি এনজিও নেতৃবৃন্দ আসলেন এবং তারা একটি পরিপত্র দিলেন। সেখানে নির্বাচন কমিশন গঠনের যে আইন সেটি করে দিতে হবে। আমি বলেছিলাম এখন করোনা কালিন সময়, একটি আইন করতে হলে সংসদ ঠিকভাবে বসতে হবে। সংসদ বসলে আমরা আইনটি করে দিব। উনারা বললেন, ‘সংসদ বসা দরকার নাই, অডিনেন্স দিয়ে করে ফেলেন। আমি বলেছিলাম, এত বড় একটি আইন, এত গুরুত্বপূর্ণ একটি আইন সংসদকে বাদ দিয়ে করবো না। এরপর রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ সাহেব সকল রাজনৈতিক দলকে আলাদা ভাবে দাওয়াত দিলেন। সেখানে আলোচনা হলো এই আইনটি হওয়া উচিৎ। আমরা সেই মূহুর্তে আইনটি করে দিয়েছি। সকল দলের যৌক্তিক সংশোধিত নিয়ে আইনটি পাশ করা হয়। এই আইনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়। মন্ত্রী আরও বলেন, এই আইন পাশ হওয়ার পর এখন উনাদের (বিএনপি) দাবি তত্ত্ববধায়ক সরকার। তত্ত্বাবধায়ক সরকার কেন গঠন করা হয়েছিল? এই দেশে তত্তাবধায়ক সরকার আবির্ভাব হয়েছিল বিএনপির দুঃশাসন ও নির্বাচনে কারচুপি করার জন্যে। আপনারা ১৯৯৬ সালে নির্বাচন দেখেছেন, আপনারা ২০০৬ থেকে ২০০৭ সালের প্রথম দিকে নির্বাচনের প্রস্তুতি দেখেছেন, এই অপকর্মের জন্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্ম। যখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিষয়ে মামলা হলো, হাইকোর্ট বললো এটা সংবিধানের সাথে সংগতিপূর্ণ নয়। কোন দিনই সংবিধান তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা বলে নাই। সেহেতু এইটা অবৈধ এবং এটা বাতিল করে দেওয়া হলো। সেই বাতিলটাকে আইন সঙ্গত করার জন্যে সংবিধান সংসদের মাধ্যে সংশোধন করা হলো। এখন উনারা আবার সেই দাবি তুলেছেন। উনাদের এই দাবির মানে হচ্ছে, আমরা নির্বাচন করবো কিন্তু আমাদের জিততে হবে। সব মানি তালগাছ আমার। অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রেস ক্লাবের সদস্য সচিব জাবেদ রহিম বিজন।
কিউএনবি/অনিমা/১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩/বিকাল ৫:৪৩