সভায় দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ৭ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে বাংলা একাডেমি সাম্মানিক ফেলোশিপ ২০২২ এবং বাংলা একাডেমি পরিচালিত কবীর চৌধুরী শিশুসাহিত্য পুরস্কার (দ্বি-বার্ষিক পুরস্কার)-২০২২, সাহিত্যিক মোহম্মদ বরকতুল্লাহ প্রবন্ধসাহিত্য পুরস্কার-২০২২, অধ্যাপক মমতাজউদদীন আহমদ নাট্যজন পুরস্কার-২০২২, সা’দত আলি আখন্দ সাহিত্য পুরস্কার-২০২২ প্রদান করা হয়। বাংলা একাডেমি সম্মানসূচক ফেলোশিপ ২০২২’প্রাপ্তরা হচ্ছেন : ১. অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক (শিক্ষা),
কবীর চৌধুরী শিশুসাহিত্য পুরস্কার-এর অর্থমূল্য এক লক্ষ টাকা; সাহিত্যিক মোহম্মদ বরকতুল্লাহ প্রবন্ধসাহিত্য পুরস্কার-এর অর্থমূল্য এক লক্ষ টাকা; অধ্যাপক মমতাজউদদীন আহমদ নাট্যজন পুরস্কার-এর অর্থমূল্য এক লক্ষ টাকা এবং সা’দত আলি আখন্দ সাহিত্য পুরস্কার-এর অর্থমূল্য পঞ্চাশ হাজার টাকা। পুরস্কার ও ফেলোশিপপ্রাপ্ত গুণীজণদের হাতে পুরস্কারের অর্থমূল্য, সম্মাননাপত্র, সম্মাননা-স্মারক ও ফুলেল শুভেচ্ছা তুলে দেন অনুষ্ঠানের সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন এবং বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। বার্ষিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করে কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা বলেন, বাঙালি জাতিসত্তা ও বুদ্ধিবৃত্তিক উৎকর্ষের প্রতীক-প্রতিষ্ঠান বাংলা একাডেমি সাম্প্রতিক সময়ে অবকাঠামো এবং গবেষণাগত বিপুল সংখ্যক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে। জাতির বুদ্ধিবৃত্তিক ও সাংস্কৃতিক ইতিহাসের অনন্য উত্তরাধিকার বাংলা একাডেমি অতীত, বর্তমান ও আগামীর মধ্যে সেতুবন্ধ নির্মাণের কাজ করে চলেছে। তিনি বলেন, বার্ষিক সাধারণ সভায় সারাদেশ থেকে আগত ফেলো, জীবনসদস্য এবং সাধারণ সদস্যবৃন্দ বাংলা একাডেমির ভবিষ্যৎ রূপকল্প নির্ধারণে কার্যকর ভূমিকা পালন করবেন বলে আমরা আশাবাদী। সকলের সমবেত প্রচেষ্টায় আমরা বাংলাদেশের বুদ্ধিবৃত্তিক ও সাংস্কৃতিক সমৃদ্ধি অর্জনের পথে এগিয়ে যাব। সভাপতির বক্তব্যে কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন বলেন, বাংলা একাডেমি দেশ ও জাতির গর্ব ও অহংকারের প্রতীক, আমাদের সবার প্রাণের প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশ রাষ্ট্রের উদ্ভব ও বিকাশের সঙ্গে বাংলা একাডেমি অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িয়ে আছে। সাধারণ সভায় সারাদেশ থেকে আগত ফেলো, জীবনসদস্য এবং সদস্যবৃন্দ বাংলা একাডেমির সঙ্গে সঙ্গে দেশের সাহিত্য-সংস্কৃতির বিভিন্ন বিষয়ে তাঁদের ধারণা এবং মতামত তুলে ধরেন, যা আমাদের প্রগতিশীল অভিযাত্রাকে ত্বরান্বিত করতে করে।