মোঃ সালাহউদ্দিন আহমেদ : নরসিংদীর মাধবদী কোতোয়ালিরচরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে এক পক্ষের ৪ জন ও অপরপক্ষের ১ জন আহত হওয়ার সংবাদ পাওয়া গেছে। এঘটনায় গত ৩ ডিসেম্বর উভয় পক্ষ থেকেই মাধবদী থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। এঘটনায় সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় মাধবদীর কোতোয়ালিরচর গ্রামের মৃত হাসেমের পুত্র মোঃ রাসেল ও তার চাচা আবুল কাসেমের মধ্যে বহুদিন যাবৎ পৈত্রিক জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। সেই জমির সূত্র ধরেই এই সংঘর্ষ সৃষ্টি হয়। সংঘর্ষে মোঃ রাসেলসহ তার পক্ষের ৪ জন মারাত্মকভাবে জখম হয়। অন্যদিকে অপরপক্ষের আবুল কাসেমের পুত্র মোঃ শাহীন আহত হয়। ঘটনা সম্পর্কে মোঃ রাসেল বলেন গত ২ ডিসেম্বর রাত ৯টায় আমি বাড়ির পাশের দোকানে যাই।
সেখানে যাওয়ার পর হঠাৎ করে আমার কোতোয়ালিরচর গ্রামের মৃত আক্কাস আলীর পুত্র আবুল কাসেম , আবুল কাসেমের চার পুত্র মোঃ শাহীন, মোঃ মাসুম, মোঃ ইয়ামিন, মোঃ মেহেদী আমার উপর হামলা করে। চাইনিজ কুড়াল, ছুরি, রড দিয়ে আমাকে মারতে থাকে। ঘটনা শুনে আমাকে বাঁচাতে আমার স্ত্রী জানাতুন ও তার দুই ভাই স্বপন আহমেদ , মোঃ সুজন ঘটনাস্থলে আসে। তারা ঝগড়া থামাতে গেলে তাদেরকেও চাইনিজ কুড়াল ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মারাত্মকভাবে আঘাত করে। তাদের হাত ও মাথায় কুড়ালের কুপে জঘন্যভাবে আহত হয়। আমি এই হামলার সুষ্ঠু বিচার চাই। আহত স্বপন আহমেদ বলেন আমি ও আমার ছোট ভাই সুজন রাতে বাড়িতে অবস্থান করছিলাম। হঠাৎ করে ঝগড়ার শব্দ শুনতে পাই এবং জানতে পারি আমার বোন ও বোন জামাইকে আবুল হাসেম ও তার ৪ সন্তান মারছে। তখন আমরা বোন জামাইকে বাঁচাতে গেলে আমাদের উপরও চাইনিজ কুড়াল ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা করে।
আমার হাতের রগ কেটে দিয়েছে দুর্বিত্তরা। আমার ছোট ভাইয়ের হাতের রগ কেটে দিয়েছে ও মাথায় কুড়াল দিয়ে কুপ দিয়েছে। এখন আমরা সকলেই নরসিংদী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছি। আমার ছোট ভাই সুজন গুরুতর আঘাত হওয়ায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য পরামর্শ দিয়েছে নরসিংদী সদর হাসপাতালের ডাক্তার। আমরা ঝগড়া মিটাতে গিয়ে আজকে এমন হামলার শিকার হলাম। সরকার , প্রশাসন ও আমাদের মেয়র সাহেবের নিকট এই নগ্ন হামলার সঠিক বিচার কামনা করছি। অপর পক্ষ আবুল কাসেম বলেন আমার জমিতে গেইট দেওয়া নিয়ে দোকানে বসে রাসেল গালাগালি করছিল।
বিষয়টি আমার ছেলে জানতে চায় গালাগালি কেন করছে। এনিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে তর্কাতর্কির একপর্যায়ে মারামারি হয়। এসময় আমার ছেলে শাহীন আহত হয় । সে এখন হাসপাতালে ভর্তি আছে। ঝগড়ার সময় তারা আমার বাড়িতেও হামলা করে ভাংচুর করে। ঘটনাটি সম্পর্কে মাধবদী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রকিবুজ্জামানের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন বিষয়টি তদন্ত করে প্রকৃত আসামীদের শাস্তির আওয়ায় আনা হবে।
কিউএনবি/আয়শা/০৪ ডিসেম্বর ২০২২,খ্রিস্টাব্দ/রাত ১০:০৮