আহতরা হচ্ছেন, আশুলিয়া থানা এলাকার ভাদাইল বাজার সংলগ্ন শাখওয়াত হোসেনের বাড়ীর ভাড়াটিয়া সিদ্দিক উল্লাহর ছেলে জাফর আহম্মেদ (৫৫) ও জাফর আহম্মেদ এর ছেলে ঢাকা বাংলা কলেজের মার্কেটিং বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র কাউছার আহাম্মেদ (২২)। তাদের দুই জনের অবস্থা গুরুতর বলে জানান দায়ীত্বরত চিকিৎসক। এদিকে পরিবারটি আইনি কোন সহযোগীতার না পাওয়ায় পুনরায় হামলার শিকারের আতঙ্কে রয়েছে বলে জানান তারা।
আহত জাফর আহম্মেদ মেয়ের জামাতা জানান, ভাদাইল বাজার এলাকায় শাখওয়াত হোসেনসহ কয়েকটি বাড়ীর সামনের চলাচলের রাস্তায় বহুদিন থেকে পানি জমাট বেধে রয়েছে। এর থেকে পরিত্রান পাওয়ার জন্য কয়েক বাড়ীর মালিক মিলে ৫ হাজার করে টাকা দিয়ে রাস্তার মেরামত ও ড্রেনের ব্যবস্থা করেন। কিন্তু যারা টাকা উত্তোলন করেছেন তারা। নিজের বাসার সামনে মেরামত করে বাকি কাজ করেননি। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় রবিউল, হানিফ, হান্নান, আল-আমনি, শিপন ও আলমগীরসহ অজ্ঞাত ২০-২৫ জন মিলে আমাদের বাসার সামনে এসে ডাক চিৎকার করে ও হামলা চালায়। এ সময় তাদের হাতে রড, বাশ ও ইট ছিল।
বিষয়টি বুঝে ওঠার আগেই তারা আমার শ্বশুরকে মারধাবর করে। ৯৯৯এ কয়েকবার কল দিয়েও পুলিশের সহযোগীতা পাইনি। পরে স্থানীয় মেম্বারের কাছে বিষয়টি জানালে মিমাংসার কথা বলে ও আমার স্ত্রীর ছোট ভাই কলেজ ছাত্র কাউছারকে উপস্থিত হতে বলে। কাউছার বাসা থেকে মেম্বারের অফিসে যাওয়ার পথে তার উপরে হামলা চালিয়ে আহত করে। ৯৯৯ এ কল দিয়ে সহযোগীতা না পাওয়ার বিষয়টি ৯৯৯এ কল দিয়ে জানতে চাইলে বলেন, অভিযোগটি আমাদের উদ্ধর্তন কর্মকর্তাদের জানানো হবে। ওনারা বিষয়টি তদন্ত করে দেখবেন।
আশুলিয়া ধামসোনা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড মেম্বার সাদেক ভূঁইয়া জানান, দুই পক্ষের মধ্যে চলাচলের রাস্তায় পানি জমাটকে কেন্দ্র করে তর্ক-বিতর্ক ও মারা মারির ঘটনা ঘটে। দুই পক্ষই আমার কাছে মিমাংসার জন্য এসেছিল। দুই পক্ষ বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।