সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫, ০৮:৫৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম

‘জলবায়ু পরিবর্তন মানবসভ্যতার অস্তিত্বকে হুমকির মুখে ফেলেছে’

Reporter Name
  • Update Time : বুধবার, ২ নভেম্বর, ২০২২
  • ৯৭ Time View

ডেস্ক নিউজ : পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন জানিয়েছেন, বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন বর্তমান পৃথিবীর সবচাইতে বড় চ্যালেঞ্জ। যা মানব সভ্যতার অস্বিত্বকে হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে। আজ বুধবার স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হওয়া জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ তথ্য জানান। জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলার প্রশ্নের লিখিত জবাবে মন্ত্রী জানান, বৈশ্বিক পর্যায়ে জলবায়ু পরিবর্তন রোধে খুব দ্রুত ও ব্যাপক পদক্ষেপ না নিলে আগামী দশকের মধ্যে তাপমাত্রা বৃদ্ধি, শিল্প-বিপ্লব সময়ের পূর্বের তুলনায় এক দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছড়িয়ে যাবে।

যা ২১০০ সাল নাগাদ ৩.৩ থেকে ৫.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের চেয়ে বেশি বৃদ্ধি পেতে পারে। এর ফলে দিন দিন আবহাওয়া আরো বিপজ্জক আচরণ করবে, সামুদ্রিক ঝড় বেশি হবে এবং জলোচ্ছ্বাস বাড়বে। ওয়ার্কার্স পার্টির বেগম লুৎফুন নেসা খানের লিখিত প্রশ্নের জবাবে পরিবেশমন্ত্রী জানান, শব্দদূষণ পরিবেশ এবং জনস্বাস্থের জন্য একটি মারাত্মক পরিবেশগত সমস্যা। তাই শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণের জন্য পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা, ১৯৯৭ অনুযায়ী বিভিন্ন এলাকাকে নিরব এলাকা, আবাসিক এলাকা, মিশ্র এলাকা, বাণিজ্যিক এলাকা এবং শিল্প এলাকা ৫ শ্রেণিতে ভাগ করে শব্দের মানমাত্রা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।

একই পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ অনুযায়ী শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০০৬ জারি করা হয়েছে। কিন্তু শব্দদূষণ ও এর প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতার অভাবে মানুষ হরহামেশাই দূষণকারী উচ্চ শব্দ সৃস্টি করে যাচ্ছে। এ ছাড়া ৬৪ জেলায় ২ হাজার অংশীজনকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা ও শব্দমাত্রা রেকর্ড সংক্রান্ত জরিপ কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।

আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য গাজী মোহাম্মদ শাহনেওয়াজের প্রশ্নের জবাবে পরিবেশমন্ত্রী জানান, পরিবেশ সংরক্ষণ, পরিবেশগত মান উন্নয়ন ও পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ ও প্রশমনে গৃহস্থালী বর্জ্য ও প্ল্যাস্টিক বর্জ্যরে সুষ্ঠু ও স্বাস্থ্যসম্মত ব্যবস্থাপনার নিমিত্তে সরকার বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ এবং কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিধিমালা, ২০২১ প্রণয়ন করেছে। এই বিধিমালায় পরিবেশ বিনষ্টকারী পলিথিনের উৎপাদন ও বিপণন কার্যক্রম এবং ব্যবহার বন্ধে স্থানীয় সরকারসহ সকলের দায়-দায়িত্ব নির্ধারণ করা হয়েছে। আইন অনুযায়ী ক্ষেত্র বিশেষে বিভিন্ন গুরুত্বের পলিথিনের উৎপাদন ও বিপণন কার্যক্রম এবং ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এই পণ্যের উৎপাদন ও বিপণনের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

 

 

কিউএনবি/আয়শা/০২ নভেম্বর ২০২২,খ্রিস্টাব্দ/রাত ৮:৪৯

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

July 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit