মোঃ সালাহউদ্দিন আহমেদ নরসিংদী জেলা প্রতিনিধি : নরসিংদী সদর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে অবৈধ দাদন ও সুদ ব্যবসা। দিনমজুর, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, এমনকি মধ্যবিত্ত পরিবার পর্যন্ত এই ভয়াল ফাঁদে জড়িয়ে পড়ছেন। জরুরি প্রয়োজনে বা পারিবারিক সংকটে পড়ে অনেকে বাধ্য হয়ে সুদে টাকা নিচ্ছেন। কিন্তু এরপর শুরু হয় অবর্ণনীয় নির্যাতন ও নিপীড়ন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, কোনো কোনো এলাকায় প্রভাবশালী ব্যক্তি আবার কোথাও সমিতির আড়ালে চলছে এই অবৈধ লেনদেন। একবার কেউ এই চক্রে জড়ালে সহজে মুক্তি মেলে না। অতিরিক্ত সুদের চাপে অনেককে জমি বিক্রি করতে বা স্বর্ণালঙ্কার বন্ধক রাখতে বাধ্য হতে হচ্ছে। অনেক সময় নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে টাকা ফেরত না দিতে পারলে বন্ধক রাখা জিনিসপত্র আর ফিরে পাওয়া যায় না। খালি চেকের পাতা ও স্ট্যাম্পে সই নিয়ে রাখা হয় দেখানো হয় মামলার হুমকি।
নরসিংদীর আমদিয়া এলাকায় স্বর্ণ ব্যবসার আড়ালে চলছে এই চক্র। অলঙ্কার বন্ধক রেখে ঋণ নেওয়ার পর নির্দিষ্ট সময়ে ফেরত দিতে না পারলে তা বাজেয়াপ্ত করে নেয়া হয় বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। সামাজিক ও আইনগত দিক থেকেও এই চক্রের বিরুদ্ধে নেই কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ। সমাজসেবা অধিদপ্তর কিংবা স্থানীয় প্রশাসনের কোনো কার্যকর নজরদারি না থাকায় বছরের পর বছর ধরে এই চক্রের দাপট বাড়ছে। এ বিষয়ে সমাজকর্মী সোহেলী খানম বলেন, “যেসব সমিতি মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি (MRA) থেকে অনুমোদন না নিয়েই ঋণ কার্যক্রম চালাচ্ছে, তারা সম্পূর্ণ অবৈধ। অথচ এসব বন্ধে প্রশাসনের কোনো কঠোর পদক্ষেপ নেই।”
স্থানীয়দের দাবি, অবিলম্বে এসব অবৈধ দাদন ব্যবসায়ী ও সমিতি সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে প্রশাসনের জোরালো অভিযান ও নজরদারি নিশ্চিত করতে হবে। তা না হলে এই অসুস্থ আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থার ধাক্কা সমাজে বড় ধরনের বিপর্যয় ডেকে আনবে বলে আশঙ্কা করছেন সচেতন নাগরিকরা।
কিউএনবি/আয়শা//০৭ জুলাই ২০২৫,/সন্ধ্যা ৬:৪০