ডেস্ক নিউজ : প্রয়াত সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর কর্মময় জীবনের স্মৃতিচারণ করে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, সাজেদা চৌধুরী ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। প্রজ্ঞা, মেধা, সৃষ্টিশীলতা ও দূরদর্শী রাজনৈতিক নেতৃত্বের জন্য তিনি বাংলাদেশের জনগণের নিকট অনুসরণীয় হয়ে থাকবেন। সাজেদা চৌধুরীর অবদান জাতি আজীবন শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
আজ সোমবার জাতীয় সংসদ ভবনে সদ্য প্রয়াত সাজেদা চৌধুরীর আত্মার মাগফেরাত কামনায় জাতীয় সংসদ আয়োজিত মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সচিব কে এম আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক টুকু, চীফ হুইপ নূর-ই আলম চৌধুরী লিটন ও হুইপ ইকবালুর রহিম।
অনুষ্ঠানে এছাড়াও বক্তব্য রাখেন- সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ প্রমূখ। অনুষ্ঠানে স্পিকার বলেন, ‘সংসদ উপনেতা হিসেবে সাজেদা চৌধুরী অত্যন্ত নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি ছিলেন শতভাগ অনুগত ও আস্থাশীল। ‘
তিনি আরো বলেন, ‘তিনি ১৯৭৫ সালের কালো অধ্যায়ের সময়েও রাজনীতিতে মুজিবের রাজনৈতিক আদর্শকে সগৌরবে ধারণ করেছেন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকসহ সকল বিভিন্ন পদে তিনি শতভাগ নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। আওয়ামী লীগের সকল সংকটে তিনি ছিলেন অকুতোভয় কাণ্ডারি। ‘ এসময় সকল নারীকে সাজেদা চৌধুরীর কর্মময় জীবন অনুসরণ করার আহবান জানান স্পিকার। আলোচনাসভা শেষে মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রয়াত সাজেদা চৌধুরীর আত্মার মাগফেরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাত ও নীরবতা পালন করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন জাতীয় সংসদের ঈমাম হাফেজ ক্বারী মাওলানা মুফতি মো. আবু রায়হান।
কিউএনবি/আয়শা/২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২,খ্রিস্টাব্দ/বিকাল ৪:৪২