শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:০১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
মাটিরাঙ্গা জোনের উদ্যােগে  বিশেষ মানবিক সহায়তা ও বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান। মাটিরাঙ্গায় পলাশপুর জোনের বিশেষ অভিযানে  ভারতীয় পিস্তল ও তাজা গুলি উদ্ধার। শিবিরের নতুন সভাপতি সাদ্দাম, সেক্রেটারি জেনারেল সিবগাতুল্লাহ কুষ্টিয়া সীমান্তে ১৪ জন ভারতীয় নাগরিককে পুশইনে বিজিবি’র বাঁধা : পতাকা বৈঠকে ফেরত ভারতের রাজনীতিতে বিজেপির কৌশল ও কংগ্রেসের বিপর্যয়: বাংলাদেশের বিএনপির জন্য শিক্ষণীয় ভারত থেকে বিনিয়োগ তুলে নিয়েছে ম্যান সিটির মালিকপক্ষ মেঘনায় দুই লঞ্চের সংঘর্ষ: ঝালকাঠিতে অ্যাডভেঞ্চার-৯’ কর্মী আটক ৪ শহীদ ওসমান হাদীর স্মরণে রাঙ্গামাটিতে নওগাঁর পত্নীতলায় তৃণমূলে গণমানুষের নেতৃত্বে গড়ে উঠছে পুষ্টি সমৃদ্ধ গ্রাম বরিশালে মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড

১২ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি

Reporter Name
  • Update Time : রবিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২৫
  • ৫৮ Time View

ডেস্ক নিউজ : ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে শত শত টন আমদানি-রপ্তানি পণ্য পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। গতকাল বেলা আড়াইটার দিকে বিমানবন্দরের ৮ নম্বর গেট সংলগ্ন কার্গো ভিলেজে আগুনের সূত্রপাত হয়।

ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম জানান, ক্ষয়ক্ষতির সঠিক পরিমাণ এখনো নিরূপণ করা সম্ভব হয়নি। তবে ইন্টারন্যাশনাল এয়ার এক্সপ্রেস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি কবির আহমেদ জানিয়েছেন, কার্গো ভিলেজে এই আগুনে আনুমানিক বিলিয়ন ডলারের বেশি ক্ষতি হয়েছে। প্রতি ডলার ১২২ টাকা ১৩ পয়সা হিসাবে ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়াতে পারে প্রায় ১২ হাজার ২১৪ কোটি টাকা।

গতকাল রাতে তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, কার্গো এক্সপ্রেস, ওয়্যারহাউজ, পণ্যবাহী বিমান, বিমানবন্দরের অবকাঠামোসহ সামগ্রিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে গেছে। এতে শুধু ব্যবসায়ীরা নয়, দেশের সামগ্রিক বাণিজ্য ব্যবস্থাও বড় ধরনের ধাক্কা খাবে।

কার্গো ভিলেজে মূলত আমদানি ও রপ্তানির জন্য অপেক্ষমাণ পণ্য সংরক্ষিত থাকে। আমদানিকারক বা তাদের প্রতিনিধিরা শুল্কায়ন শেষে এখান থেকে পণ্য খালাস করেন। পচনশীল পণ্য শাকসবজি, ফলমূল ছাড়াও তৈরি পোশাকের মতো পণ্য সাধারণত ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এখান থেকে পাঠানো হয়। তবে রপ্তানিমুখী পণ্যের স্পেস সংকট বা শুল্কায়ন বিলম্বের কারণে অনেক চালান কয়েক দিন পর্যন্ত এখানে রাখা হয়। আকাশপথে পণ্য পরিবহনকারী আরএমকে গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কামরুজ্জামান ইবনে আমিন সোহাইল বলেন, এই ঘটনায় অসংখ্য আমদানিকারকের পণ্য পুড়ে গেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পরই জানা যাবে কার কার পণ্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিমা দাবির প্রক্রিয়া শুরু করতে সময় লাগবে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজ দেশের পণ্য আমদানি-রপ্তানির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র। এখানে শুল্ক বিভাগ, বিমান সংস্থা ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কার্যালয় রয়েছে। আগুনে কেবল পণ্যই নয়, গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্রও নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ইন্টারন্যাশনাল সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশনের নিয়ম অনুযায়ী, বিমানবন্দরের কার্যক্রম পুনরায় শুরু করার আগে পূর্ণাঙ্গ নিরাপত্তা মূল্যায়ন সম্পন্ন করতে হবে।

দেশের বাণিজ্য খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা আশঙ্কা করছেন, এই অগ্নিকাণ্ডে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলবে এবং রপ্তানি পণ্যের লিড টাইমে বড় ধরনের সংকট সৃষ্টি করবে।

কিউএনবি/অনিমা/১৯ অক্টোবর ২০২৫,/সকাল ৫:৪৮

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

December 2025
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৬
IT & Technical Supported By:BiswaJit