সরজমিন বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এবং সচেতন লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মাতামুহুরী নদীর বিএমচর ইউনিয়নের পুচ্ছলিয়া পাড়া পয়েন্ট, কোনাখালী, পৌরসভার আমান পাড়ার বিভিন্ন পয়েন্টে একাধিক সিন্ডিকেট, চিরিঙ্গা ইউনিয়নের পালাকাটা ও সওদাগরঘোনা, বরইতলী ইউনিয়নের বাঘগুজারা পয়েন্টেসহ অন্তত ৩০টি পয়েন্টে রমরমাভাবে চলছে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনযজ্ঞ। এসব পয়েন্টে শক্তিশালী ড্রেজার ও শ্যালো মেশিন বসিয়ে বড় বড় পাইপ দ্বারা বালু উত্তোলনের কারণে মাতামুহুরী নদীর দুই তীরে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। এক জায়গা থেকে নির্বিচারে বালু উত্তোলনের কারণে নদীতে সৃষ্টি হচ্ছে অসংখ্য চোরাবালি। এতে গোসল, মাছ ধরাসহ প্রাত্যহিক কাজ-কর্ম সারতে গিয়ে প্রতিনিয়ত চোরাবালিতে তলিয়ে প্রাণ হারাচ্ছে মানুষ।সরজমিন আরো দেখা গেছে, পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের আমান পাড়ায় মাতামুহুরী নদীতে অসংখ্য ড্রেজার এবং শ্যালো মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে তোলা হচ্ছে বালু। এতে একদিকে পরিবেশের বিপর্যয়, অন্যদিকে ব্যাপকভাবে ক্ষতি হচ্ছে নদী তীরের ফসলি জমি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে চকরিয়ার বিভিন্ন ইউনিয়নের পরিবেশ সচেতন বেশ কয়েকজন জানান, দেশ স্বাধীনের পর দীর্ঘ ৪৫ বছর পর্যন্ত মাতামুহুরী নদীর দুই পয়েন্টে মাটির বাঁধ (ক্রসবাঁধ) দিয়ে প্রতিবছর ইরি-বোরো চাষের সুবিধার্থে মিঠা পানি ধরে রাখতো। বিশাল এই কর্মযজ্ঞ সম্পাদন করতে প্রতিবছর সরকারকে গচ্চা দিতে হতো কোটি কোটি টাকার। সেই পরিস্থিতিতে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর প্রায় ৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে নদীর পালাকাটা ও বাঘগুজারা পয়েন্টে দুটি রাবার ড্যাম নির্মাণ করে। তন্মধ্যে বাঘগুজারা রাবার ড্যামটি দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রাবার ড্যাম।পানি উন্নয়ন বোর্ডের চিরিঙ্গা শাখা কর্মকর্তা (এসও) শাহ আরমান সালমান বলেন, রাবার ড্যামের আশপাশের যেসব পয়েন্টে বালু উত্তোলন করা হয়েছিল তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড সতর্ক দৃষ্টি রেখেছে।
কিউএনবি/অনিমা/১৭.০৭.২০২২/বিকাল ৩.২৩