এম রায়হান চৌধুরী চকরিয়া প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার কোদালায় কাদায় আটকে অসুস্থ হয়ে পড়া বুনো হাতিটিকে চিকিৎসার জন্য কক্সবাজারের চকরিয়ার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে নেওয়া হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকালে ট্রাকে করে কোদালা বনবিট থেকে হাতিটিকে নিয়ে রওনা দেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। বিকেলে ট্রাকটি সাফারি পার্কে পৌঁছায়। সাফারি পার্ক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমির হোসাইন এবং বন্য প্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ ঢাকা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মোল্লা রেজাউল করিমের নির্দেশে মূলত চিকিৎসার জন্য এই বুনো হাতিটিকে আনা হয়েছে।
রাঙ্গুনিয়ার কোদালা বনবিট থেকে চকরিয়ার ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক মো. মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘হাতিটি পার্কে আনার পর থেকে বুনো আচরণ শুরু করেছে। প্রাণীটিকে পার্কের হাতির গোদা এলাকায় আলাদা একটি শেডে রাখা হয়েছে।’পার্কের বন্য প্রাণী চিকিৎসক (ভেটেরিনারি সার্জন) হাতেম সাজ্জাদ জুলকার নাইন বলেন, ‘রাঙ্গুনিয়ার কোদালা বনবিট কার্যালয়ে বুনো হাতিটির চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু করা হয় এক সপ্তাহ আগে। এখন সাফারি পার্কে হাতিটির চিকিৎসা চলবে।সাফারি পার্ক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমির হোসাইন এবং বন্য প্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ ঢাকা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মোল্লা রেজাউল করিমের নির্দেশে মূলত চিকিৎসার জন্য এই বুনো হাতিটিকে আনা হয়েছে।
রাঙ্গুনিয়ার কোদালা বনবিট থেকে চকরিয়ার ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক মো. মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘হাতিটি পার্কে আনার পর থেকে বুনো আচরণ শুরু করেছে। প্রাণীটিকে পার্কের হাতির গোদা এলাকায় আলাদা একটি শেডে রাখা হয়েছে।’পার্কের বন্য প্রাণী চিকিৎসক (ভেটেরিনারি সার্জন) হাতেম সাজ্জাদ জুলকার নাইন বলেন, ‘রাঙ্গুনিয়ার কোদালা বনবিট কার্যালয়ে বুনো হাতিটির চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু করা হয় এক সপ্তাহ আগে। এখন সাফারি পার্কে হাতিটির চিকিৎসা চলবে।’বিশেষজ্ঞরা বলেন, এই বুনো হাতিটিকে মাহুতসহ যারা তদারকি করবে তাদের জীবন ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যাবে। পাশাপাশি পার্কে আগত দর্শনার্থীরাও হুমকির মধ্যে থাকবে। তাই এসব বিষয় ভালোভাবে তদারক করতে হবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের।বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের প্রকল্প পরিচালক এবং চট্টগ্রাম বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ চট্টগ্রামের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. রফিকুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, এই বুনো হাতিকে তদারকি করার পুরোপুরি উপায় পার্কে নেই।
মূলত চিকিৎসার জন্যই বুনো হাতিটিকে রাখা হয়েছে। তাই চিকিৎসা কার্যক্রম পর্যন্ত হাতিটিকে সতর্কতার সঙ্গে কিভাবে তদারকি করা যায়, সেদিকেই লক্ষ থাকবে। পাশাপাশি পার্কের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং আগত দর্শনার্থীরাও যাতে হুমকির মুখে না পড়ে, সেদিকে সতর্ক অবস্থান থাকবে পার্ক কর্তৃপক্ষের।গত ৩০ এপ্রিল দুপুরে বুনো হাতিটিকে কাদায় আটকে থাকা অবস্থায় উদ্ধার করে বন বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। এরপর হাতিটিকে বনে ফেরত পাঠানো হয়। কিন্তু হাতিটির শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতপ্রাপ্ত হলে সেটিকে ফের চিকিৎসার জন্য কোদালা বনবিটের নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হয়। সেখানে পার্কের ভেটেরিনারি সার্জনের নেতৃত্বে চিকিৎসা দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হয়।
কিউএনবি/আয়শা/১৪.০৫.২০২২ খ্রিস্টাব্দ/সন্ধ্যা ৬:৫৯