আসাদুজ্জামান আসাদ দিনাজপুর প্রতিনিধি : চলতি বছর কৃষি ও শিল্প খাতে উৎপাদন বাড়াতে দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার বড়পুকুরিয়া ৫২৫ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ১৬ জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ অব্যাহত রয়েছে। বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিটি ১৯৯৪ সালে উদ্বোধন করা হয়। এ খনির উৎপাদিত কয়লা দিয়ে দেশের প্রথম ২৭৫ মেগাওয়াট ধারণ ক্ষমতার কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়েছিল। ২০০৩ সালের ২৩শে এপ্রিল দেশে প্রথম তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি স্থাপিত হয়ে ২০০৫ সালে কেন্দ্রটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়। তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র ২টি স্থাপিত হওয়ার পর উত্তরাঞ্চলের ১৬ জেলায় বিদ্যুতের চাহিদার একটি বড় অংশ এখান থেকে পূরণ করা হচ্ছে। তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র ও কয়লা খনি প্রকল্প উন্নয়নের একটি মাইলফলক। ২৮২ একর জমির উপর নির্মিত ৩টি ইউনিট। প্রতি বছর প্রায় ৮ লাখ ৪০ হাজার টন কয়লা ব্যবহার হচ্ছে।
২০১৪ সালে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের তৃতীয় ইউনিট নির্মাণ করা হয়। ২০১৭ সালের ২৬শে ডিসেম্বর তৃতীয় ইউনিটটি পরীক্ষামূলক চালু হয়। চালুর পর থেকে তৃতীয় ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ চলছে। কয়লার সংকটের মাঝেও বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন অব্যাহত রয়েছে। এখন বড়পুকুরিয়ায় তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদনে কয়লা খনি থেকে পর্যাপ্ত কয়লা সরবরাহ করা হচ্ছে। ২০২০ সালে কোভিডের মাঝেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে পর্যায়ক্রমে ৩টি ইউনিট থেকে দেশের উত্তরাঞ্চলের ১৬ জেলায় কৃষি ও শিল্প কলকারখানার উৎপাদন বৃদ্ধিতে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র কাজ করে যাচ্ছে।
বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী এসএম ওয়াজেদ আলী সরদার সাংবাদিকদের জানান, ২০২০ সালে যোগদান করার পর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ও দ্বিতীয় ইউনিট ওভারহোলিং এর মাধ্যমে ঠিক করে চলতি বছর বিদ্যুৎ উৎপাদনে সচল রাখা হয়েছে। তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে চীনা কোম্পানি এবং তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের দক্ষ প্রকৌশলী ও শ্রমিকরা বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধিতে এখানে কাজ করছেন। উত্তরের ১৬ জেলায় সরবরাহ হচ্ছে। বিদ্যুৎ সরবরাহে যাতে কোনো সমস্যা না হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখে ৩টি ইউনিট থেকে আমরা বিদ্যুৎ সরবরাহ পর্যাক্রমে অব্যাহত রাখছি।
কিউএনবি/আয়শা/১৪ই জানুয়ারি, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ/দুপুর ১২:০৩