চতুর্থ দিনের খেলা শেষে তাই স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে কেন মুশফিককে এমন রেকর্ড গড়ার সুযোগ দেওয়া হলো না। মিরপুর টেস্টের সংবাদ সম্মেলনে এসে তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন ব্যাটিং কোচ আশরাফুল ইসলাম। বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক বলেছেন, ‘যেহেতু এটা একটা দলীয় খেলা, এখানে ব্যক্তিগত জিনিস চিন্তা করে না। যদিও আমি মনে করি, ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স করলেই দলের পারফরম্যান্সটা হয়।
কিন্তু এমন একটা পরিস্থিতি ছিল, আমাদের ইতিমধ্যে ৫০০ রানের লিড হয়েছে এবং আমরা বিশ্বাস করি, আয়ারল্যান্ডের ১০টা উইকেট নিতে আমাদের যেই ওভারটা ছিল, যা দরকার।’চাইলে আরেক ঘণ্টা হয়তো খেলানো যেত বলে জানান আশরাফুল। তবে স্পিরিট অব ক্রিকেটকে মাথায় রেখে তিনি বলেছেন, ‘হ্যাঁ, চাইলে আরো এক ঘণ্টা খেলানো যেত। কিন্তু জিনিসটা সুন্দর লাগত না স্পিরিট অব ক্রিকেটে। হয়তো এ কারণেই ম্যানেজমেন্ট এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
মমিনুল হক শতরানের কাছাকাছি থাকায় সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। বাঁ-হাতি ব্যাটার ৮৭ রানে আউট হতেই ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ। মমিনুল সেঞ্চুরি না পাওয়ায় কিছুটা হতাশ হয়েছেন আশরাফুল। ব্যাটিং কোচ বলেছেন, ‘যেহেতু মুমিনুল কাছাকাছি ছিল, তাকে সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত সে করতে পারেনি। সেই কারণেই আসলে আর খেলা হয়নি।’
শততম টেস্টের দুই ইনিংসে সেঞ্চুরি করতে না পারলেও আরেক কীর্তিতে ঠিকই পন্টিংয়ের পাশে বসেছেন মুশফিক। সেঞ্চুরির টেস্টে শতক ও ফিফটির মাইলফলক ছুঁয়েছেন তিনি। দুজনের বাইরে আর কারো এই কীর্তির রেকর্ড নেই।