আশুলিয়া (ঢাকা) প্রতিনিধি : আশুলিয়ার পাড়াগ্রামে পৈতৃক সম্পত্তির উপর দিয়ে রাস্তা নির্মাণে ৬ দাদার মধ্যে দুই দাদার অংশীদাররা রাস্তার জায়গা দিতে অসম্মতি জানায়। পরে এনিয়ে গ্রাম্য সালিশিতে রাস্তা করার পক্ষে সমাধান হয়। এরপরে চলাচলের জন্য রাস্তা করায় মৃত হাফিজ উদ্দিন সরকারের ছেলে আরাফাত সরকারের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ও মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা সহ আওয়ামী লীগ যুবলীগের ট্যাগ দিয়ে অপ-প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে বলে মৃত কাবিল উদ্দীন সরকার ও রফিজ উদ্দীন সরকারের ছেলেদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী।

ভুক্তভোগী আরাফাত সরকার অভিযোগ করে বলেন, ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটি সংলগ্ন দামপাড়ায় তাদের ছয় দাদার সম্পত্তি ভাগবাটোয়ারার পর চলাচলের জন্য জমির নকশা অনুযায়ী সড়ক নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়। সড়ক নির্মাণে চার দাদার সকল সন্তানরা এগিয়ে আসলেও মূল সড়কের পাশে অংশীদার দুই দাদার সন্তানরা সড়ক নির্মাণে বাঁধা দেয়। পরে এলাকাবাসীকে নিয়ে শালিসী হলে তাঁরা সড়ক নির্মাণে সম্মতি দেয়। কিন্তু রাস্তা নির্মাণের পক্ষে থাকায় দুই দাদার অংশীদাররা আমার প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে ভূমিদস্যু ও যুবলীগ ট্যাগ লাগিয়ে নামে-বেনামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপ-প্রচার চালায়। এমনকি আমাকে মিথ্যে মামলায় ফাঁসাতে উঠে পড়ে লেগে আছে। আমি কোন দলের সাথে জড়িত ছিলাম না এবং কোন দল করি না। অথচ, আমাকে যুবলীগের ট্যাগ লাগিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে। এছাড়াও আমাকে যে মামলার আসামি বলে প্রচার চালাচ্ছে সেই মামলারও কোন ভিত্তি নেই। এই ধরনের অপ-প্রচারের বিরুদ্ধে আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং এবিষয়ে প্রশাসন মহলের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
দিলগণী সরকার নামের ওই জমির আরও এক অংশীদার বলেন, আমরা ৬ অংশীদারের মধ্যে ৪ অংশীদার রাস্তার জন্য জায়গা দিয়েছি এবং গ্রাম্য শালিসি অনুযায়ী আমরা রাস্তা নির্মাণ করেছি, এই রাস্তা দিয়েতো তারাও চলাচল করবে। ওই জমির আরেক অংশীদার বোরহান সরকার ও রায়হান সরকার তারা রাস্তা নির্মাণে বাঁধা দিচ্ছে। আজ (মঙ্গলবার) তাঁরা রাস্তার ইট উঠানোর জন্য লোকজন নিয়ে আইছে। এই রাস্তা দিয়ে যেন সকলে চলাচল করতে পারে এবিষয়ে প্রশাসন মহলের জোর হস্তক্ষেপ কামনা করছি। পরে এবিষয়ে জানতে সরেজমিনে গিয়ে অভিযুক্তদের কাউকে পাওয়া যায়নি।সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বলেন, যেহুতু এবিষয়ে অবগত হয়েছি, আমরা এর ব্যবস্থা নিবো।
কিউএনবি/অনিমা/০৪ নভেম্বর ২০২৫,/বিকাল ৩:৩৯