লাইফ ষ্টাইল ডেস্ক : চলছে শীতের মৌসুম। আর শীতের দিনে গরম পানীয়ে চুমুক দিতে সবারই ভালো লাগে। মন বারবার উঁকি দেয় চা-কফির দিকে। গরম কফিতে চুমুক দেওয়ার তৃপ্তিই আলাদা। তবে সেই তৃপ্তি অনেক সময় অতৃপ্তিতে পরিণত হতে বেশি সময় লাগে না— পেটফাঁপা ও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা শুরু হয়।
১. কাওয়া চা
কাওয়া হলো কাশ্মীরি চা। কাঠবাদাম, কেশর ও গ্রিন টির মিশ্রণে তৈরি এ পানীয় কাশ্মীরে বেশ জনপ্রিয়। সুস্বাদু এই চা শুধু গা গরম রাখতে সাহায্য করে না, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি করে। একটি পাত্রে পানি ফুটতে দিন। তাতে একে একে দারুচিনি, এলাচ দিন। এরপর দিন কেশর ও গোলাপের শুকনো পাপড়ি। পানি ফুটে গেলে গ্রিন টি দিয়ে আঁচ বন্ধ করে দিন। এবার কাচের পাত্রে কাঠবাদামের কুচি, কেশর ও চিনি দিয়ে কাওয়া পরিবেশন করুন। চিনির বদলে মধুও দিতে পারেন। এবার চুমুক দিন কাপে, যা আপনার মন ভরিয়ে তুলবে।
২. পাঞ্জিরি চা
শীতের এই সময় গা গরম রাখার জন্য এবং অত্যন্ত পুষ্টিকর পাঞ্জিরি খাওয়ার চল আছে। সেই পাঞ্জিরি গরম দুধে মিশিয়ে বানিয়ে নিতে পারেন বিশেষ পানীয়। প্রথমে গঁদ (এক ধরনের আঠা যা খাওয়া হয়) কড়াইয়ে হালকা নাড়াচাড়া করে নিন। এরপর একটি কড়াইয়ে একে একে কাজু, কাঠবাদাম, কিশমিশ, আখরোট, মাখানা, কুমড়া বীজ রোস্ট করে নিন। এবার একটি কড়াইয়ে ঘি দিয়ে তাতে বেসন ও আটা ভালো করে ভেজে নিন। এরপর রোস্ট করে নেওয়া বাদাম, মাখানা, গঁদ মিক্সারে গুঁড়ো করে মিশিয়ে দিন। স্বাদমতো লবণ দিন। বেশ কিছুক্ষণ আঁচ কমিয়ে নাড়াচাড়া করে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে পাঞ্জিরি। দুধ গরম করে ১ বা ২ টেবিল চামচ পাঞ্জিরি গুঁড়ো মিশিয়ে নিন। ছোট থেকে বড় সবাই তা খেতে পারেন মজাদার এ পানীয়।
৩. বাজরা চা
বাজরার আটা ও দই দিয়ে তৈরি গরম পানীয়টি শীতের দিনে খাওয়ার চল রয়েছে। প্রথমেই এক কাপ টকদই খুব ভালো করে ফেটিয়ে নিন। এরপর আধাকাপ বাজরার আটাও পানি দিয়ে ফেটিয়ে নিন। এবার ফেটানো টকদই ও আটা একসঙ্গে ভালো করে মিশিয়ে নিন, যেন কোনো ড্যালা না থাকে।
এবার আঁচে কড়াই বসিয়ে মিশ্রণটি ঢেলে ২০-২৫ মিনিট রাখুন। মাঝে মাঝে নাড়তে থাকুন। এরপর স্বাদমতো লবণ ও লংকার গুঁড়ো দিন। আরেকটি পাত্রে তেল গরম করে জিরা, হিং, কাঁচালংকা ফোড়ন দিন। ফোড়নটি কড়াইয়ে রাখা দই-আটার মিশ্রণে ঢেলে দিন। মিনিট ২ রান্না হতে দিন। শেষে ধনেপাতা কুচি দিয়ে নামিয়ে নিন।
কিউএনবি/আয়শা/২০ নভেম্বর ২০২৫,/রাত ৯:০৮