মশিউর রহমান, আশুলিয়া (ঢাকা) প্রতিনিধি : আশুলিয়ায় দুই বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনায় ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জিম্মী করে জোরপূর্বক মিথ্যা জবানবন্দী নেয়ার অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম আর কবির। এসময় সংঘর্ষের ঘটনায় ৬ সদস্যর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। যারা ৭ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিবেন বলে উল্লেখ করে এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান উপাচার্য।
মঙ্গলবার দুপুরে ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এম আর কবির। উপাচার্য জানান, রোববার রাতে সংঘর্ষের ঘটনাকে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করে সব দায় ড্যাফোডিলের ওপর চাপানোর চেষ্টা করছে সিটি বিশ্ববিদ্যালয়। সংঘর্ষে ড্যাফোডিলের শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। অনেকেই গুরুতর আহত হয়ে হাসাপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। সেদিন রাতে ড্যাফোডিলের ১১ শিক্ষার্থীকে জিম্মি করে জোরপূর্বক পরিকল্পিত হামলার জবানবন্দির ভিডিও ধারন ও তা প্রচার করে ড্যাফোডিলের শিক্ষার্থীদের একতরফা দোষী করা হচ্ছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে প্রকৃত দোষীদের সনাক্ত করা যাবে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনও বিষয়টি দেখছেন।
উপাচার্য আরও জানান, পরিস্থিতি বিবেচনায় আগামী ৩১শে অক্টোবর পর্যন্ত একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে। এছাড়া আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি। প্রসঙ্গত, রোববার রাতে থুতু ফেলাকে কেন্দ্র করে শুরু হওয়া সংঘাতে রনক্ষেত্রে পরিণত হয় সাভারের খাগান এলাকা। ড্যাফোডিল ও সিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ চলে রাতভর। আহত হয় উভয়পক্ষের ২ শতাধীক শিক্ষার্থী। অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করা হয় সিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবনসহ বিভিন্ন স্থাপনা ও পরিবহন। পরে এই ঘটনায় বিচার ও ক্ষতিপূরণ দাবি করে সিটি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এছাড়া তদন্ত কমিটি গঠনসহ আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়ধীন বলে জানান সিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আবু জায়েদ। এসময় শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার গণমাধ্যমকর্মীরা।
কিউএনবি/আয়শা/২৮ অক্টোবর ২০২৫,/সন্ধ্যা ৬:৩৩