আবহাওয়া নিউজ ডেক্সঃ ভারী বর্ষণ ও ভারতের উজানের পানি চাপে ফেনীর পরশুরামের মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর পানি বিপৎসীমা ছুঁইছুঁই। এতে নদী তীরবর্তী বাসিন্দারা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। বুধবার (১ অক্টোবর) সকাল থেকে মুহুরী ও সিলোনিয়া নদীর পানি ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে নতুন করে নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে আবারও ভয়াবহ বন্যার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, মুহুরী নদীর পানি বুধবার সকাল থেকে ১১ দশমিক ১৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। উপজেলার চিথলিয়া ইউনিয়নের অলকা গ্রামের শামসুল আলম বলেন, ঘুম থেকে উঠে দেখি নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। চলতি বছরে পরপর দুই দফা বন্যায় সব হারিয়ে শেষ হয়ে গেছি। এখন আবার বন্যা দেখা দিলে আমন ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হবে। একই ইউনিয়নের পশ্চিম অলকা গ্রামের মাসুম চৌধুরী বলেন, গত জুলাই মাসের বন্যার ক্ষত এখনো কেটে উঠতে পারিনি। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ঘর এখনো নতুন করে বাঁধতে পারিনি। সকাল থেকে নদীর পানি বাড়তে দেখে পরিবার-পরিজন নিয়ে আতঙ্কে দিন কাটছে।
ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী আক্তার হোসেন বলেন, চলতি বছরে দুই দফায় মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর ৪১টি স্থানে বাঁধ ভেঙে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে ঠিকাদার নিয়োগ করে ৫ কোটি টাকা ব্যয় করে ৪০টি বাঁধ জিও টিউবের মাধ্যমে পূর্ণ মেরামত করা হয়েছে। শুধু একটি বাঁধ ভারতীয় বিএসএফের বাধার কারণে মেরামত সম্ভব হয়নি। তিনি আরও বলেন, নদীর পানি বৃদ্ধি পেলেও এ মুহূর্তে লোকালয়ে পানি ঢোকার কোনো সম্ভাবনা নেই।
উল্লেখ্য, চলতি বছরে ৮ জুলাই ভয়াবহ বন্যায় মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর ৪১ স্থানে বেড়িবাঁধ ভেঙে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এর আগে গত বছরের ২০ আগস্টের ভয়াবহ বন্যায় উপজেলার ৩টি নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে ফেনীসহ বিস্তীর্ণ এলাকা পানির নিচে তলিয়ে যায় এতে রাস্তাঘাট, ফসলি জমি ও ব্রিজ-কালভার্টসহ ঘরবাড়ি নদীতে বিলীন হয়ে যায়।