রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ১১:৩২ অপরাহ্ন

ব্যাংক একীভূত হলে আমানতকারীদের দায়িত্ব নেবে সরকার: গভর্নর

Reporter Name
  • Update Time : বুধবার, ১৩ আগস্ট, ২০২৫
  • ৪৫ Time View

ডেস্ক নিউজ : বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, ব্যাংক একীভূতকরণের আলোচনা চলমান প্রক্রিয়া। তবে আমানতকারীদের আতঙ্কের কিছু নেই, সবাই টাকা ফেরত পাবেন।

মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংকের কৃষি ও পল্লী ঋণ নীতিমালা ঘোষণা অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর।

গভর্নর বলেছেন, ব্যাংক একীভূত হবেই, এ নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই। ব্যাংক একীভূতকরণের আলোচনা একটি চলমান প্রক্রিয়া। এতে আমানত নিরাপদ ও নিশ্চিন্ত থাকবে। সরকার আমানতকারীদের দায়িত্ব নেবে।

তিনি বলেন, কবে নাগাদ কোন ব্যাংক কার সঙ্গে একীভূত হবে, তা আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে। তবে আমানতকারীদের এ নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই। সবাই টাকা ফেরত পাবেন।

একীভূতকরণের আলোচনায় থাকা পাঁচটি ব্যাংকের মধ্যে চার ব্যাংকের চেয়ারম্যানদের সঙ্গে মঙ্গলবার বৈঠক করেন গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। ব্যাংকগুলো হলো ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামি ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামি ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক ও গ্লোবাল ইসলামি ব্যাংক। এক্সিম ব্যাংক সভায় উপস্থিত ছিল না।

জানা গেছে, ব্যাংক একীভূতকরণের আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া শুরুর ধাপ হিসেবে ধারাবাহিকভাবে এই বৈঠক করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে মূলত একীভূত করতে কত টাকা প্রয়োজন হতে পারে ও পদক্ষেপগুলো কী কী হতে পারে, তা নিয়ে আলোচনা চলছে। টাকার চাহিদা দিয়ে শিগগিরই সরকারকে চিঠি দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ জন্য তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক অক্টোবরের মধ্যে পাঁচটি ইসলামি ব্যাংককে একীভূত করতে চায়। গত জুনে ব্যাংকগুলোর চেয়ারম্যান ও এমডিকে নিয়ে এক বৈঠক থেকে প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে এ বার্তা দেওয়া হয়।

পাঁচটি ব্যাংক একীভূতরণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক নিরীক্ষাপ্রতিষ্ঠান দিয়ে সম্পদের মূল্যায়ন করিয়েছে। এই মূল্যায়নে ইউনিয়ন ব্যাংকের ২৬ হাজার ৪৯১ কোটি টাকা বা মোট ঋণের ৯৭ দশমিক ৮০ শতাংশ খেলাপি হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামি ব্যাংকের ৫৮ হাজার ১৮২ কোটি টাকা বা ৯৬ দশমিক ৩৭ শতাংশ খেলাপি। গ্লোবাল ইসলামি ব্যাংকের ১৩ হাজার ৫৬৯ কোটি টাকা বা ৯৫ শতাংশ খেলাপি। সোশ্যাল ইসলামি ব্যাংকের ২৩ হাজার ৫৭৫ কোটি টাকা বা ৬২ দশমিক ৩০ শতাংশ খেলাপিতে পরিণত হয়েছে। আর এক্সিম ব্যাংকের ২৫ হাজার ১০১ কোটি টাকা বা ৪৮ দশমিক ২০ শতাংশ খেলাপিতে পরিণত হয়েছে।

প্রতিটি ব্যাংকই কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে বড় অংকের ধার নিয়েও আমানতকারীর টাকা পরিশোধ করতে পারছে না। বিধিবদ্ধ হিসেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সিআরআর ও এসএলআর রাখতে পারছে না। প্রভিশন ও মূলধনে বড় অংকের ঘাটতি তৈরি হয়েছে।

কিউএনবি/অনিমা/১৩ আগস্ট ২০২৫/সকাল ৯:৩৫

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

October 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit