আটককৃতরা হলো, নওগাঁর জেলার বদলগাছী থানার খাদাইল মিঠাপুর এলাকার মরহুম ওয়াহেদের ছেলে ইমন (৩২) এবং অন্যজন তার ভাই জাহিদ হাসান (২৬)।হামলার শিকার অনিক বলেন, ‘গতকাল রাতে একটি অনুসন্ধান শেষ করে চায়ের দোকানে যাচ্ছিলাম। সেখানে আগে থেকে দু’জন মোটরসাইকেল নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন। পরে সেখান থেকে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হলে তারা মোটরসাইকেল নিয়ে আমার পিছু নেয়। আমি বাইপাইল বাসস্ট্যান্ড এসে পৌছলে তাদের আরো একটি প্রাইভেটকারে চারজনকে দেখা যায়। কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমার উপর হামলা চালায় ও প্রাইভেটকারে উঠিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। পরে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে সবাই পালিয়ে যায়। ওই সময় দু’জনকে আটক করে পুলিশে দেয়া হয়।’ এঘটনায় আমি থানায় মামলা করতে গেলে দুলাল মন্ডল নামের আওয়ামী লীগের এক অনুসারী আমাকে হুমকি দিয়ে বলেন, মামলা দিয়ো না, চিকিৎসার খরচ দিয়ে দেই, যদি মামলা করো, তাহলে এর পরিণতি ভালো হবে না, আমি কে জানো? আমার খবর নিয়ে দেখো।
জাহিদুল ইসলাম অনিক আরও বলেন, আমার অনুসন্ধান ছিলো ফার্মেসি নামের আড়ালে মাদকদ্রব্য সরবরাহ ও বিক্রি নিয়ে। এই নিয়ে তারা আমাকে টার্গেটে রাখে। তারা জানতো আমি কাজ শেষে আশুলিয়ার পল্লীবিদ্যুৎ এলাকায় যাবো। তাদের পরিকল্পনা ছিল যেকোনভাবে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করে আমাকে অপহরণ করা। সেসময় তাদের পরিকল্পণা বুঝতে পেরে ওই স্থান ত্যাগ করি। কিন্ত তারা আমার পিছু নেয় এবং তাদের পূর্ব পরিকল্পণা অনুযায়ী আগে থেকেই দেশীয় অস্ত্র ও প্রাইভেটকার নিয়ে বাইপাইল আমার বাসায় যাওয়ার সড়কে ওঁৎ পেতে থাকে। তারা চেষ্টা করেছে গাড়িতে উঠিয়ে নেওয়ার। একজন ধাড়ালো অস্ত্র দিয়ে মারার চেষ্টা করেছে। কিন্ত আঘাত লাগেনি। এছাড়া বাকীরা মারধর করেছে। সেসময়ে আমার আর্তচিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে, প্রাইভেটকার নিয়ে চারজন পালিয়ে যায়। বাকী দুজন মোটরসাইকেল স্ট্যার্ট না হওয়ায় পালিয়ে যেতে পারেনি। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। এরপরে আমাকে উদ্ধার করে প্রথমে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে স্থানীয় একটা ক্লিনিকে ভর্তি হই। বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছি।
এবিষয়ে আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (অপারেশন) শফীকুল ইসলাম সুমন জানান, ঘটনার সংবাদ পাওয়ার পরপরই কয়েকটি টীম ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছি। দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকীদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সেইসাথে গ্রেপ্তার দুজনকে আদালতে প্রেরণ করা হচ্ছে।মামলা না করার হুমকিদাতা দুলাল মন্ডলের সাথে এবিষয়ে জানতে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। ঘটনা সম্পর্কে আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (অপারেশন) শফীকুল ইসলাম সুমন বলেন, ‘ঘটনার খবর পাওয়ার পর পর কয়েকটি টিম ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছি। দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সেইসাথে গ্রেফতার দু’জনকে আদালতে পাঠানো হচ্ছে।